1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

কৃষকলীগ নেতা মেরে ফেলেছে ছাত্রটিকে?

  • Update Time : শনিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২০
  • ১৩৯২ জন পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা বানা ইউনিয়নের কঠুরাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও বানা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি শরীফ হারুন অর রশিদের দ্বিতীয় তলা ভবন থেকে আশিক রানা (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ৩টার দিকে ওই ভবনের নিচতলা থেকে গামছা গলায় অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। আশিক কঠুরাকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী আলমগীর হোসেনের ছেলে ও ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এ ঘটনার শরীফ হারুনের ছোট ভাই নজরুল শরীফসহ ৫ জনকে ওই বাড়ি থেকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের থানায় নিয়েছে।

পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আশিক রানা ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজে থেকে লেখাপড়া করে। করোনা ভাইরাসের কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে ছোটভাইকে নিয়ে মায়ের সাথে থাকে। প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার শেষ করে শুয়ে পড়ে আশিক। রাত ১ টা ১৯ মিনিটে হারুন অর রশিদ আশিকের চাচা বানা ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে ফোন দিয়ে বলে; তোমার ভাতিজা আমার ঘরে আটকা আছে নিয়ে যাও। চাচা জাহাঙ্গীর হোসেন আশিকের মা মরিয়াম বেগমের কাছে জানতে চায়; আশিক কোথায়? ঘরে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে দ্রæত তারা হারুন অর রশিদের বাড়িতে ছুটে যান। এক পর্যায়ে হারুন অর রশিদের ঘরে জানালা দিয়ে আশিকের গলায় গামছা দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় আশিকের পরিবার। এ সময় তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ সকালে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

কঠুরাকান্দি গ্রামের একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, আশিকের পরিবারের সাথে হারুন অর রশিদের মধ্যে পূর্বে থেকে দ্ব›দ্ব রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা মীমাংসা হয়ে একসাথেই চলা ফেরা করছিল। এক পর্যায়ে কলেজ শিক্ষার্থী আশিক ও হারুন অর রশিদের মেয়ে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মারিয়ার সাথে আশিকের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর জের ধরে গতকাল রাতে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে একাধিক ব্যক্তির ধারণা।

আশিক রানা মা মরিয়াম বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলেকে সুকৌশলে হারুন ও তার ভাই বাড়িতে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে। তিনি এই হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি করেন। তবে প্রেমের বিষয় সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।

বানা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ পলাতক ও বাড়ির সবাই থানা হেফাজতে থাকায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

আশিকের চাচা ও বানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমাদের পরিবারের সাথে জমিজমা ও গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে শরীফ হারুন অর রশিদের সাথে দীর্ঘদিন ঝামেলা চলছে। রাত ১টা ১৯ মিনিটের সময় হারুন আমাকে ফোন দিয়ে ভাতিজা তার ঘরে আটকা আছে বলে ভাতিজা আশিককে নিয়ে আসতে বলে। তারপর থেকে তার ফোন বন্ধ রয়েছে। আমার ভাতিজাকে ডেকে নিয়ে তারা হত্যা করেছে। এজাহার রেডি করছি থানায় হত্যা মামলা করার জন্য।

আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, স্থানীয়দের সংবাদে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে আলামত সংগ্রহ শেষে সকালে ময়না তদন্ত করার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে হত্যার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION