1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

অটোপাশে আশাহত জুবায়ের পেলেন তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ

  • Update Time : শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২১
  • ৯৮৭ জন পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ধরণী ধরদী গ্রামের জুবায়ের রহমান। ২০২০ সালের এইচএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পান। আশাবাদী ছিলেন বোর্ড পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাবেন৷ কিন্তু মহামারী পরিস্থিতির জন্য পরীক্ষা না হওয়ায় অটোপাস হলো৷ জিপিএ-৫ পাওয়া বন্ধুদের আনন্দ উল্লাস দেখে আশাহত হন জুবায়ের। ৪.৫০ পেয়ে ভেঙে পড়েন মেধাবী ছাত্র জুবায়ের। অটোপাশ তার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেয়। তাই সেদিন সে কেঁদেছিল। এরপর তিনি আবার মনকে শক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নেয় জোরেশোরে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, অটোপাশে স্বপ্ন ভেঙে যাওয়া জুবায়ের এবার ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন দেশের নাম করা তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এতে তার অটোপাশে আশাহত আর সেদিনের কান্না কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছে। দরিদ্র কৃষক পিতা আব্দুল করিম শেখের ৬ সন্তানের সবার ছোট জুবায়ের। রাজধানীর নামকরা স্কুল কলেজে পড়তে পারেননি৷ এমনি জেলা কিংবা উপজেলার শহরেও পড়েননি। নিজের গ্রামে বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে তিন মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত এয়াকুব আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে বিজ্ঞান শাখা থেকে এসএসসি পাস করেছেন ৪.৩৩ জিপিএ নিয়ে৷ এরপর তিনি বুঝতে পারলেন বিজ্ঞান শাখায় পড়ার জন্য যে অনুকূল পরিবেশ দরকার তা তার নেই। ভর্তি হলেন বাড়ির পাশেই কাদিরদী কলেজের মানবিক শাখায়। কলেজের সব পরীক্ষায় সাফল্য আসতে শুরু করে সব সময় প্রথম হতে থাকেন। সারা দেশে জিপিএ ৫ সংখ্যা ছিলো দেড় লাখেরও বেশি। দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলে আসন সংখ্যা সত্তর হাজার মাত্র। পরিবারের সদস্যরা তার পাশে ছিলো। শিক্ষকরা তাকে স্বান্তনা দিয়ে বললেন তিনি ভালো করবেন। ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে। এরপর রাজধানীর একটি কোচিং সেন্টারের অনলাইন ভর্তি প্রস্তুতি ক্লাস শুরু করেন বাড়িতে বসে। প্রচুর অধ্যাবসায় করতে থাকেন। এবছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এ ইউনিটে ১৩০ তম, বি ইউনিটে ৫০০ তম, সি ইউনিটে ১২৮ তম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সি ইউনিটে ২৬১ তম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খ ইউনিটে ১৯৫৯ তম এবং ঘ ইউনিটে ২৬১ তম হয়েছেন৷ এরপর আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেননি। এ বিষয়ে জুবায়েরের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি যে গ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি এটা অনেক পরিবার, কলেজ বা ব্যাক্তির কাছে সাধারণ ব্যাপার হলেও আমার জন্য অনেক পাওয়া। কেননা আমাদের গ্রামের কেউ এর আগে কখনোই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েননি যে তার কাছ খুব ভালো অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনা পাবো। পেলে আরো ভালো কিছু করতে পারতাম। যেটুকু করেছি মা বাবার দোয়া, আমার বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনা। আমার এ সাফল্যে আমার পরিবারের সাথে এলাকাবাসীও অনেক খুশি। জুবায়ের আরও জানান, আমার দরিদ্র কৃষক বাবা যিনি নিজে পড়াশোনা করতে পারেননি কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ছিলো বাড়ির ছয় সন্তানকে গ্রাজুয়েট হিসেবে দেখার। আমাকে দিয়ে তার ষোল কলা পূর্ণ হতে যাচ্ছে। আমার বড় ভাইয়েরা ঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে যে আক্ষেপ করেছেন তা আমার মাধ্যমে পূর্ণ হলো। জুবায়েরের তার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION