1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

ফরিদপুরে শিক্ষক হত্যাকান্ডের সাত বছরেও বিচার শেষ হয়নি

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০
  • ২৩২১ জন পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল ইসলাম হত্যাকান্ডের পর সাত বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার কাজ শেষ হয়নি অদ্যবদি। এতে হতাশায় ভুগছে পরিবারটি। বিচার বিভাগের প্রতি তাদের আর্তি দ্রুততম সময়ে এ হত্যাকান্ডের বিচার শেষ করে প্রকৃত দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার।


মামলার বাদী নিহতের ভাই এস এম খায়রুল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর বেলা তিনটার দিকে শিক্ষক কামরুল ইসলাম সাইকেল যোগে বোয়ালমারী বাজারে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে চতুল চিতাঘাটা এলাকায় পৌছালে একদল দূর্বৃত্ত অতর্কিতে হামলা চালায়। পুর্ব পরিকল্পিতভাবে ১৪-১৫ জন হামলা চালিয়ে প্রকাশ্যে বেধড়ক মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে। অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হলে জখম গুরুত্বর বিবেচনায় ফরিদপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ফমেকে নেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে নেয়ার পথে রাত পৌনে দশটার দিকে মৃত্যু হয়। এঘটনায় পরদিন ২৬ নভেম্বর বোয়ালমারী থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো চার-পাঁচ জনকে আসামী করে মামলা দয়েরে করা হয়।
তিনি জানান, এঘটনায় পুলিশ ২০১৪ সালের ২০ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিচার কাজ শুরু হলেও এরই মধ্যে সাত বছর পেরিয়ে গেলেও বিচারকাজ শেষ হয়নি অদ্যবদি। আসামীরা জামিন নিয়ে এলাকায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি সামজিক চাপ সৃষ্টি করছে। নানাভাবে সামাজিকভাবে চাপের মধ্যে রয়েছি। তিনি দ্রুত বিচার কাজ শেষ করার দাবী জানান বিচার বিভাগের প্রতি।


নিহতের শোকাতুর বৃদ্ধ মা লাইলি বেগম জানান, পুত্র শোক সইতে না পেরে একবছরের মধ্যে মারা গেছেন বাবা হাজী আবুল হাসেম মাস্টার। মৃত্যুর আগে সন্তান হত্যাকারীদের বিচার দেখে যেতে চান শোকে কাতর এই মা। তিনি দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করেন।
নিহতের স্ত্রী তানজিলা খানম জানান, স্বামীর হত্যাকারীদের চোখের সামনে দিয়ে বীরদর্পে ঘুরে বেড়ানো ও কটু কথা সইতে না পেরে স্বামীর বাড়ী ছেড়েছি। আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি, ন্যায় বিচার যেনো প্রতিষ্ঠিত হয়।
নিহতের বোন, তাসলিমা আক্তার ও মামলার বাদীর স্ত্রী (নিহতের ভাইয়ের স্ত্রী) সোনিয়া সুমি দাবী করেন, আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় উকিল নিয়োগ দেয়াও সম্ভব হয়নি, বর্তমানে অতিরিক্ত সরকারী কৌসুলী এম. এ. সালাম মামলাটি পরিচালনা করছেন। তারা এ হত্যা কান্ডের বিচার দ্রুততম সময়ে শেষ করাসহ দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করেন।
এদিকে ফরিদপুর জজকোর্টের অতিরিক্ত সরকারী কৌসুলী এম. এ. সালাম আশ^স্ত করে জানান, মামলাটি সাক্ষী শেষে প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যে রায় ঘোষনা হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।


সংবাদটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION