স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুর পিয়ারলেস নামক একটি প্রাইভেট হাসপাতালে টনসিল অপারেশনের পর নুসরাত জাহান (১১) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে অপারেশনের পর হাসপাতালটিতে বুকে ও পেটের ব্যথা অনুভব করে ওই রোগীর মৃত্যু হয়। শিশুটি রাজবাড়ী জেলার আহলাদিপুর এলাকার শিকদার মামুনের মেয়ে। তবে, এব্যাপারে মৃত্যু রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে রোগীর মৃত্যু সম্পর্কে কোনো অভিযোগ নেই বলে ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় একটি লিখিত দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ফরিদপুর শহরের পিয়ারলেস নামক একটি প্রাইভেট হাসপাতালে মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) টনসিল অপারেশন করানো হয় নুসরাত জাহান নামের এক রোগীর। আর অপারেশন করেন নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উষা রঞ্জন চক্রবর্তী। অপারেশনের পরে বিকেলে ওই শিশুর হঠাৎ বুকে ও পেটে ব্যাথা অনুভব করে। এর কিছুক্ষণ পরে শিশুটির মৃত্যু হয়। এব্যাপারে অপারেশন করা ডা. উষা রঞ্জন চক্রবর্তীর দাবী, ওই রোগীর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে। মৃত্যু রোগীর বাবা শিকদার মামুন বলেন, তার মেয়ে অপারেশন আগে পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন। কিন্তু, দুপুরে অপারেশন করানোর পর হঠাৎ দুপুরে বুকে ও পেটে ব্যাথা অনুভব করে। তার কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় আমার মেয়ের।
তবে থানায় রোগীর মৃত্যু সম্পর্কে কোনো অভিযোগ নেই মর্মে লিখিত দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আমার আদরের সন্তানকে পোস্টমর্টেম করা হবে, তাকে কাটা ছেঁড়া করা হবে এটা আমরা চাইনি। এছাড়া আইনের কিছু জটিলতা থাকার কারণে আমরা এ মর্মে একটা লিখিত দিয়েছি। এব্যাপারে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ৯৯৯-এর একটা ফোনে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে মৃত্যু রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বললে তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় রোগীর স্বজনদের কাছে থেকে আমরা একটা লিখিত নেই। তিনি আরো বলেন, যদি পরবর্তীতে মৃত্যু রোগীর স্বজনদের হাসপাতাল কিংবা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেয় তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
এদিকে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশ ডেকে নিয়েও কোন ধরনের অভিযোগ না করায় ঘটনাটি নিয়ে প্রশ্ন উঠে জেলার সচেতন মহলে। তাদের দাবী নিহত ওই শিশুর স্বজনদের কোন ভয় কিংবা চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা উচিত সংশ্লিষ্ট সরকারী দপ্তরের। উল্লেখ এর আগে এই হাসপাতালেই এক নারীর এপেনডিক্স অপারেশ করতে গিয়ে পায়ু পথের রাস্তা কেটে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। তখন গনমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমান আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত হাসপাতালটিকে জরিমানা ও সতর্ক করে তখন।