স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরে পুলিশের বাধায় মিছিল সংক্ষিপ্ত করতে বাধ্য হয়েছে জেলা যুবদল। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের জেনারেল হাসপাতালের মোড় ব্রহ্মসমাজ সড়ক থেকে শুরু হয়ে মুজিব সড়ক ধরে জনতা ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত যেতে চাইলে পুলিশ ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে বাধা দেয়। ফলে পুলিশের বাধার কারণে সংক্ষিপ্ত মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে এ কর্মসূচী শেষ করতে বাধ্য হয় যুবদল। ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে এবং নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে’ ফরিদপুর জেলা যুবদল ও ফরিদপুর মহানগর যুবদলের যৌথ উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকেল ৫টা থেকে সোয়া পাঁচটার মধ্যে যুবদলের নেতা কর্মীরা জেনারেল হাসপাতালের মোড় এসে সমবেত হতে শুরু করেন। ওই সময় একদল পুলিশ সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে সমগ্র এলাকা ঘিড়ে রাখে। বিকেল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে যুবদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার চেষ্টা করলে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় ফরিদপুর মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজীর আহমেদকে ওসি বলেন, মিছিল বা সমাবেশ করা যাবে না। যুক্তি হিসেবে এতে শহরে যানজটের সৃষ্টি হবে বলে কর্মসূচি না করতে যুবদলের ওই নেতাকে চাপ প্রয়োগ করেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তা এ কর্মসূচি পালন করছে। তাদের কর্মসূচি পালন করতে হবে। তিনি ওসিকে বলেন, তারা তাদের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জনতা ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত যাবেন না, তারা ফরিদপুর প্রেসক্লাব পর্যন্ত মিছিল নিয়ে যাবেন।ওসি বলেন, মিছিল করে যাওয়া যাবে না মিছিল ও শ্লোগন ছাড়া হেঁটে হেঁটে যেতে হবে। ওসির এ কথায় সস্মতি দিয়ে বেনজীর আহমেদ জেনারেল হাসপাতালের মোড় থেকে ব্যানার নিয়ে শ্লোগান মুখরিত মিছিল বের করেন। মিছিলটি লড়াকু ভঙ্গিতে জেনারের হাসপাতালের সামনে দিয়ে, সুপার মার্কেট পাড় হয়ে মুজিব সড়ক দিয়ে সামনের দিকে এগুতে থাকে।
তবে পুলিশ আগেই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে গাড়ি আড়াআড়ি করে বেরিকেট দেওয়ায় মিছিলকারীরা সে বেড়িকেট উপেক্ষা করে জনতা ব্যংকের মোড়ের দিকে না গিয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্ত¡রে গিয়ে সমাবেশ শুরু করে। বিকেল ৫.২৭ মিনিটে এ সমাবেশ শুরু হয় এবং ১০ মিনিটের মধ্যে ৫.৩৭ মিনিটে শেষ হয়। ওই সময়ের মধ্যে আরও দুটি ব্যানার ছাড়া মিছিল প্রেসক্লাবের সমাবেশে এসে যোগ দেয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন ও মহানগর যুবদলের সভাপতি বেনজীর আহমেদ তাবরিজ। বক্তাদ্বয় বলেন, এই স্বৈরাচারি সরকারকে না হটানো পর্যন্ত মানুষের মুক্তি নেই।
এ সরকার গণবিরোধী সরকার। এ সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দিয়েছে। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন করে এ সরকারের পতন না ঘটানো পর্যন্ত বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে না। সমাবেশ চলাকালে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ পুরো সমাবেশ স্থল ঘিরে রাখে। ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসুনুজ্জামান বলেন, যুবদলকে বিক্ষোভ মিছিলটি জনতা ব্যাংকের মোড় পর্যন্ত যেতে দিলে শহরে যানজটের সৃষ্টি হতো। পাশাপাশি নাশকতার ঘটনাও ঘটতে পারতো। এজন্য পুলিশ হস্তক্ষেপ করে যুবদলের মিছিলটি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
Leave a Reply