1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
মধুখালীতে রোপা আমন আবাদে কৃষি শ্রমিকের সংকট - আজকের ফরিদপুর
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

মধুখালীতে রোপা আমন আবাদে কৃষি শ্রমিকের সংকট

  • Update Time : বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০২১
  • ৯২৯ জন পঠিত

শাহজাহান হেলাল, মধুখালী :
ফরিদপুরের মধুখালীতে এ বছর উপজেলার বিভিন্ন হাটে কৃষকেরা রোপা আমনের চারা সংগ্রহ করতে ব্যস্ত। তবে গত বছরের তুলনায় দাম বেশী হওয়ায় কৃষক হতাশ হলেও চারা উৎপাদন করারীরা বেশ খোশ মেজাজে খুশি। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গত মৌসুমের তুলনায় চলতি বছর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রোপা আমন রোপনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করলেও অতি বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধার সৃষ্টি হওয়ায় পর্যাপ্ত চারা থাকা সত্বেও কৃষক চারা রোপন করতে বাধা গ্রস্থ হচ্ছে। চলছে কৃষি শ্রমিকের সংকট,শ্রম মুজুরী অনেক বেশী দিয়ে কৃষি শ্রমিক নিয়োগ দিতে হচ্ছে। একজন কৃষি শ্রমিকের বেতন প্রতি দিন ৫শ থেকে ৬শ টাকা। তারপর অপেক্ষা করতে হয় কৃষি শ্রমিক কোন নাগাত পাওয়া যাবে। জমি প্রস্তুত করে চাষীদের পরতে হচ্ছে শ্রমিক সংকটে।
সরেজমিনে দেখাগেছে উপজেলার সবচেয়ে বড় দুটি হাট মধুখালী পৌর সদর ও কামারখালী হাটে সোমবার চারা সংগ্রহ করতে ভীরপড়ে গেছে চাষীদের। প্রতি শত এক বোঝা চারার দাম ৬‘শ টাকা থেকে ৭‘শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত বছর এ চারার দাম ২‘শ ৫০ টাকা থেকে ৩‘শ টাকা ছিল। গত বছরের তুলনায় চারার দাম অনেক বেশী। দুটি হাটে চারার আমদানীও ব্যাপক দেখা যায়। চারা রোপন করতে কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শতশত কৃষক দুটি হাটে চারা সংগ্রহ করতে হাজির হলেও চারার দাম বেশী হওয়ায় অনেক কৃষক বাড়ি ফিরে যেতে দেখা যায়। অনেকে আবার জমি উপযোগী থাকায় তারা বেশী দামেই চারা ক্রয় করছেন।


পৌরসভার গোন্দারদিয়া গ্রামের চাষী আব্দুল হাই বাঁশী জানান, এ বছর চারার দাম দ্বিগুন হওয়ায় কৃষক একটু চিন্তা ভাবনা করছেন। আবার অনেকের পাট কাটা বাকি আছে বা জমিও তৈরী করতে পারেন নাই এ কারনে চারা কিনতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের ধান চাষী জুয়েল শেখ জানান লীজ ও বরগা নিয়ে ১ একর জমিতে ২৮,৭০০৬,ধানীগোল্ড ও চিনিগুড়ি আধুনিক জাতের ধানের চারা রোপন চলছে। ধানের বীজতলা নিজে করেছি যে কারনে ধানের চারা ক্রয় করতে হবে না। হাইব্রিড ধানের চারা হওয়ায় আশা করি ফলন ভাল হবে। কৃষি শ্রমিকের সংকট থাকায় নিজেই রোপন করছি ।
মধুখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আলভি রহমান জানান রোপা আমন সাধারণত ভাদ্র মাস পর্যন্ত রোপন করা হয়। ৯ আগষ্ট সোমবার পর্যন্ত ৬হাজার ২‘শ হেক্টর জমিতে ইতোমধ্যে রোপা আমনের চারা রোপন করেছেন চাষী। পুরো ভাদ্র মাস আর্থৎ আরও প্রায় একমাস কৃষক রোপা আমান ধানের চারা রোপন করবেন। তাতে বছর লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। নতুন জাতের হাইব্রিড ধানের চারা হওয়ায় দাম একটু বেশী এবং ফলন বেশী হবে।
চলতি বছর উপজেলায় একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে রোপা আমনের আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৮হাজার ৬‘শ ৪০ হেক্টর। গত মৌসুমে উপজেলায় মোট রোপা চাষ হয়েছে ৮হাজার ৪‘শহেক্টর। চারার দাম বেশী হলেও উচ্চ ফলন হওয়ায় চাষীর পুষিয়ে যাবে আশা করি। অন্যান্য বছর উত্তর বঙ্গের কৃষি শ্রমিক এ এলাকায় আসতেন যে কারনে কৃষি শ্রমিক সহজে পাওয়া যেত । এ বছর করোনায় লকডাউনের কারনে কৃষি শ্রমিক আসতে না পারায় সংকট ও চড়া শ্রম মুজুরী হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION