স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের ০৬ নং ওয়ার্ডের দুইজন সদস্য পদপ্রার্থী ভোট গণণায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে ওই কেন্দ্রের সদস্য পদের ভোট পুনরায় গণণার দাবী জানিয়েছেন।
তারা হলেন ওই ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে তালা প্রতিক নিয়ে প্রতিদন্দিতাকারী মো. আজিজুল খাঁন ও ফুটবল প্রতিক নিয়ে প্রতিদন্দিতাকারী মো. কবির মল্লিক।
রোববার তারা লিখিত অভিযোগ নিয়ে রিটার্ণিং কর্মকর্তার নিকট গেলে তিনি তা গ্রহন না করায় জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেন।
লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহনকারী কর্তৃপক্ষ ভোট গণণাকালে তাদের পক্ষে উপস্থিত এজেন্টদের যথাযথভাবে অংশ নিতে দেননি। এবং ভোট গণণার ফলাফল লিখিত কপি তাদের সরবরাহ না করেই মৌখিকভাবে ঘোষনা দিয়েই কেন্দ্র ত্যাগ করেন কর্মকর্তারা। এতে সন্দেহ দেখা দেয়ায় তারা ওই কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গ্রহণের দাবী জানান।

তালা প্রতিকের এজেন্ট নুর আলম খাঁন জানান, স্ব স্ব প্রার্থীর ভোট আলাদা করার পর তা সবার সামনে গণণা করে দেয়ার দাবী জানালে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ধমক দেন, পরে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানান। কিন্তু পরে আর তা গণণা করে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি।
আর ফুটবল প্রতিকের এজেন্ট আব্দুস সালাম জানান, ভোট গণণার পর ফলাফল লিখিতভাবে চাইলে পরে দেয়া হবে বলে জানান। তিনি দাবী করেন, সদস্য পদের প্রার্থীদের ভোট আলাদা করার পর স্তুপ আকারে রাখা ফুটবল মার্কার ও তালা প্রতিকের ভোটের স্তুপ বড় দেখালেও কারসাজি করে সবচেয়ে ছোটো স্তুপের মোরগ প্রতিকের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়।
এদিকে তালা প্রতিকের প্রার্থী মো. আজিজুল খাঁন দাবী করেন কারসাজি করে মোরগ প্রতিকের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়েছে। তাই পুনরায় ভোট গণণা করা হলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে দাবী করেন তিনি।
আর ফুটবল প্রতিকের প্রার্থী মো. কবির মল্লিক বলেন, তালা প্রতিককে ৪২২ ভোট, আমার ফুটবল প্রতিককে ৪২৫ ভোট ও মোরগ প্রতিককে ৪২৬ ভোট দেখানো হয়েছে, কিন্তু সঠিকভাবে ভোট গণণা করলে ফুটবল প্রতিকই জয়লাভ করবে। কর্মকর্তাদের যোগসাজসে মোরগ প্রতিকের প্রার্থীকে বিজয়ী দেখানো হয়েছে। আমাদের এজেন্টদেরও কথা বলতে দেয়া হয়নি। তাদের তাৎক্ষণিক অভিযোগ আমলেও নেয়া হয়নি। তাই সত্য প্রকাশে ভোট পুনরায় গ্রহনের দাবী জানাচ্ছি।
অপরদিকে অভিযোগ না নেয়া প্রসঙ্গে সালথা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তেলাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন নিয়ে কারো অভিযোগ থাকলে ট্রাইবুনালে আবেদন করতে হবে, যেহেতু ওই অভিযোগ গ্রহন করে আমি কিছু করতে পারবো না তাই অভিযোগ গ্রহন করিনি। তিনি বলেন গেজেট প্রকাশের পর কারো আপত্তি থাকলে নিয়মানুযায়ী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, হত ১১ নভেম্বর সালথা ও নগরকান্দা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। #