মোঃ সরোয়ার হোসেন : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে বালিয়াচরা ও সোনাখোলা গ্রামবাসীর মধ্যে ৩ ঘন্টাব্যাপি সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় ২টি বাড়িতে অগ্নি সংযোগ,৩টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ১০টি টিয়ারসেল ও দুটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। উত্তেজনা থামাতে বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ দিন আগে দুই গ্রামের মধ্যবর্তী একটি মাঠে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই গ্রামের তরুণদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পরে গত এক সপ্তাহে সোনাখোলা গ্রামের পক্ষীয় লোকজনের হামলার শিকার হন বালিয়াচরা গ্রামের কলেজ ছাত্র আল-আমিন (২২) ও মিরহাজ শেখ (২২)।
এর পর দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে দুই গ্রামের কয়েকশত গ্রামবাসী ঢাল, সড়কি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।এদের মধ্যে ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় বালিয়াচরা গ্রামের বাসিন্দা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন মোল্লার বাড়িসহ আকাশ মুন্সী, হান্নান শেখের বাড়ি-ঘরে তান্ডব চালিয়ে বাড়ি-ঘর ব্যাপক ভাংচুর,ঘরের আসবাবপত্র সহ মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটে বলে পরিবারগুলো অভিযোগ করে জানান।
এ সময় বালিয়াচরা গ্রামের হাবুল মাতুব্বর ও গফফার শেখের বাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। বালিয়াচরার বাসিন্দা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের ছোট ভাই সাংবাদিক এটিএম ফরহাদ নান্নু বলেন, আমাদের বাড়িতে সোনাখোলার লোকজন এসে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস এর লিডার খোকন জমাদার বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা থেকে ঐ এলাকায় অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে দেখি এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছে।
ভাঙ্গা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, দুই গ্রামে থানা পুলিশের পাশাপাশি ফরিদপুর জেলা শহর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। এদিকে হামলার আশংকায় পৃলিশের কর্মকর্তাসহ প্রশাসনিক কর্মকর্র্তাদের অবহিত করা সত্বেও হামলাকারীদের নিবৃত করতে কোন ব্যবস্থা করা হয়নি বলে ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করেন।