1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

ফরিদপুরে মহা ধুমধামে বট-পাকুড় গাছের বিয়ে!

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ৭০৭ জন পঠিত
ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে মহাধুমধামে ‘বট-পাকুড়’ গাছে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। গ্রামের অর্ধসহস্রাধীক অতিথি, ভূরিভোজ আর দিনভর উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে এ বিয়ে সম্পর্ন হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুর বাজার এলাকায়।  মহাধুমধাম করে বটগাছ ও পাকুড়গাছের এ বিয়ে দেওয়া হয়।
বুধবার (২রা ফেব্রুয়ারী) সকালে থেকেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে। সন্ধ্যাবেলা শুভলগ্নে শুরু হয় বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা। গোধূলিলগ্নে মন্ত্র পড়ে বটকে “বর” ও পাকুড়কে “কনে” ধরে বিয়ে সম্পন্ন করেন পুরোহিত শ্যামল কুমার দাস।
স্থানীয়দের বিশ্বাস, বটগাছ-পাকুড়গাছ একসঙ্গে থাকলে বিয়ে দিতে হয়। সে জন্যই একসঙ্গে বেড়ে ওঠা বট-পাকুড়গাছের বিয়ের আয়োজন করে দয়ারামপুর বাজার কমিটি। এ জন্য পুরো বাজার সাজানো হয় নানা রকম লাইটিংয়ে।
বট-পাকুড় গাছের চারপাশ সকালেই গোবর মাটি দিয়ে লেপে আলতার আচর দিয়ে সাজানো হয়। বিয়েকে ঘিরে বর-কনের পাশে সাজানো হয় ছাদনাতলা।
বিয়ের হলুদ কোটা, পুকুর থেকে জল আনা, বর ও কনের বাবাকে দিয়ে করা হয় বিদ্ধি অনুষ্ঠান। নারীরা পুকুরে গিয়ে গঙ্গাপূজা সেরে আসেন। জল দিয়ে ভরে আনেন ঘট। ছাদনাতলায় মঙ্গলঘট বসিয়ে শুরু হয় বিয়ের নিবেদন।
বিকাল থেকেই বিয়ে দেখতে বিভিন্ন এলাকার উৎসুক জনতার আগমন ঘটে। খাবারের পদে ছিল পোলাও, সবজি, ডাল, ফুলকপির তরকারি, চাটনী ও মিষ্টি।
বিকেল ৫টায় বরের বাড়ি থেকে নারী-পুরুষ আসেন বরযাত্রী হয়ে। গেটে মিষ্টিমুখ করিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয় তাদের। বাদ্য-বাজনার তালে নেচে ওঠেন সব বয়সী নারী-পুরুষ। বর-কনের চারপাশ ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকেন অতিথিরা।
বটগাছের বাবা হয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করেন অম্বিকাপুর ইউনিয়নের শোভারামপুর গ্রামের ব্যবসায়ী অধির ব্যনার্জী ও পাকুড় গাছের বাবা ছিলেন অম্বিকাপুর ইউনিয়নের শোভারামপুর গ্রামের ব্যবসায়ী অরুন সাহা। তারা দুজনই বাবার দায়িত্ব পালন করতে পেরে বেশ খুশি। তারা জানান এই বট-পাকুড় গাছের বিয়ের মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যেও আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট থাকবে।
বিয়ে দেখতে আসা আরতি রানী সাহা বলেন, “এই ধরনের বিয়ের কথা আমি শুনেছি। কিন্তু কখনোই নিজ চোখে দেখিনি। তাই অনেক আগ্রহ নিয়ে এই বিয়ে দেখতে এসেছি। তিনি আরও বলেন, বট ও পাকুড়ের এই বিয়েতে কোনো মঙ্গল হবে কি না জানি না, তবে ধর্মমতে দেওয়া এই বিয়েতে আমি থাকতে পেরে অনেক খুশি।”
দয়ারাম বাজার কমিটির সদস্য ও বিয়ে আয়োজক কমিটির সদস্য সংকর মালো বলেন, “সনাতন ধর্মমতে বট-পাকুড়ের বিয়ে দেওয়া হলে গ্রামবাসীর মঙ্গল হয়। শুধু তা-ই নয়, পবিত্র গীতাতেও বট-পাকুড়ের বিয়ের কথা উল্লেখ রয়েছে। পূর্বকাল থেকেই এ ধরনের বিয়ের রীতি প্রচলন হয়ে আসছে। তাই আমাদের শ্মশানের ভেতরে একসঙ্গে বেড়ে ওঠা বট-পাকুড়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাইদ চৌধুরী বারি বলেন, বিষয়টি আমি পরে জেনেছি। তবে গ্রামের যে কোন উৎসবকেই আমি স্বাগত জানাই।
তার এই আয়োজন গোটা ইউনিয়ন বাসিকে আনন্দিত করেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION