স্টাফ রিপোর্টার :
ফরিদপুর চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। পরপর ৩ বার পরাজয়ের পরে এবার সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সমর্থন নিয়ে জয় পেল ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো. কাউসার।
এর আগে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরউল্ল্যাহ’র সমর্থন নিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন হাফেজ কাউসার। এর পরে ২০১৪ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের প্রচলন হলে নৌকা প্রতীক নিয়ে ২০১৪ ও ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন তিনি। এই দুই নির্বাচনেও তিনি আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরউল্ল্যাহর সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন।
চরভদ্রাসন থেকে মোঃ মনির হোসেন পিন্টু জানান, চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মো. কাউছার নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৬ হাজার ৫২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব সতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে কেএম ওবায়দুল বারী দিপু খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪৬ ভোট। শনিবার (১০ অক্টোবর) উপজেলার ২২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২১টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহন শেষ হয়। অপর একটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপনির্বাচনে প্রথমদিকে বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে ৭ জন প্রার্থীর প্রতিদ্ব›িদ্বতা করার কথা থাকলেও দুইজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে পরেন।
উল্লেখ, গত বছর ২৩ অক্টোবর এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুসার মৃত্যুর কারনে উপজেলার চেয়ারম্যান পদটি শূণ্য হয়ে যায়। গত ২৯ মার্চ এ উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। করোনার কারনে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। আজ ১০ অক্টোবর সেই নির্বাচনের ভোট গ্রহন করে নির্বাচন কমিশন।
ওই নির্বাচনের আগে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ও নিজের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কাউসার হোসেনের নাম ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্ল্যাহ।
কিন্তু গত ২৫ সেপ্টেম্বর নৌকা প্রতীকের রেপ্লিকা ও ফুলের তোড়া এমপি নিক্সনের হাতে তুলে দিয়ে নিক্সনের সাথে যোগ দেন কাউসার। সেসময় কাউসার বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি, ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন এই তিন উপজেলার মানুষের চোখের মনি এমপি নিক্সন চৌধুরী। আমি ৩ বার পরাজিত হয়েছি, এবার এমপি নিক্সন চৌধুরী সমর্থন না দিলে আবারো পরাজিত হবো, পরাজিত হবে নৌকা। এমপি নিক্সন আওয়ামী পরিবারের সন্তান, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র। তাই আমি তার হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়ে তার সমর্থন নিতে এসেছি।
এমপি নিক্সন চৌধুরীও তাকে সমর্থন জানিয়ে তার সকল নেতাকর্মীকে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন।
বিজয়ী হওয়ার পরে হাফেজ মো. কাউসার তৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, এই জয় আমার নয়, এই জয় এমপি নিক্সন চৌধুরীর, এই জয় জননেত্রী শেখ হাসিনার।