স্টাফ রিপোর্টার : নগরকান্দা-সালথা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর ২ আসনে আওয়ামীলীগের সতন্ত্র প্রার্থী ও নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া বলেছেন, জনগনের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত করার পাশাপাশি উন্নয়নের জোয়ারকে ত্বরান্বিত করে এ আসনকে একটি রোল মডেলে পরিণত করতে চাই। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাইক্রোবাস, পিকাপ, মোটরসাইকেলের বিশাল একটি গাড়ীর বহর যোগে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সালথা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার প্রতি জনগনের পুর্ন সমর্থন থাকায়, ও তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমি ফরিদপুর ২ আসনে আওয়ামীলীগের সতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। এসময় জনগনের ভোটে এ নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ফরিদপুর ২ আসনে কোন ধরনের অরাজকতা সহ্য করা হবে না। একই সাথে সালথা-নগরকান্দার শান্তি বজায় রাখতে যে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র কঠোর হস্থে দমন করা হবে। এ সময় তিনি জনগনের পাশে থাকার সুযোগ চেয়ে আগামী নির্বাচনে তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান।
প্রসঙ্গত গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। উল্লেখ্য নগরকান্দা ও সালথা উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসনে মোট চার জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামাল হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন থেকে জয়নাল আবেদীন বকুল মিয়া, জাকের পার্টি থেকে ডা: ফজলুল হক মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এদিকে ফরিদপুরের চারটি আসনে মোট ২৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ফরিদপুর-১ আসনে সাত জন, ফরিদপুর-২ আসনে চার জন, ফরিদপুর-৩ আসনে আট জন এবং ফরিদপুর-৪ আসনে সাত জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
Leave a Reply