স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের কবি জসীম উদ্দীন হলে হামলা করে শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা, কক্ষ ও টেলিভিশন ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন ও শিক্ষার্থীদের মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে মুজিব সড়কে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচি চলাকালে দাবির সমর্থনে বক্তব্য দেন সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কবি জসীমউদ্দীন হল এর সুপার জিলাল হোসেন, শহর ছাত্র লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, জেলা ছাত্র লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অমিত বিশ্বাস, শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মোহাম্মদ, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান, সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থী কবিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ শোয়েব হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা রাজেন্দ্র কলেজের কবি জসীম উদ্দিন হলে কতিপয় বহিরাগত দুষ্কৃতীকারী কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও ভাংচুর এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং এই ঘটনায় জড়িতদের খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান। এছাড়াও তারা অবিলম্বে হলটি সংস্কারের দাবি জানান। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
মিছিলটি ফরিদ শাহ সড়ক হয়ে, সিভিল সার্জনের অফিসের সামনে দিয়ে ব্রহ্ম সমাজ সড়ক হয়ে জেনারেল হাসপাতালের মোড় দিয়ে মুজিব সড়ক হয়ে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে আসে। প্রসঙ্গত ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের কবি জসীম উদ্দিন হলে গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বহিরাগত কতিপয় দুষ্কৃতীকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা কলেজের বিভিন্ন কক্ষসহ কমন রুম ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় গত ৭ সেপ্টেম্বর কবি জসীম উদ্দীন হলের সুপার জিলাল হোসেন বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্হাতনামা আরও ১০/১২জনকে আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলাদায়ের করেন। ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের এবং মামরার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে গতকাল রবিবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশের অভিযান চলছে।
Leave a Reply