স্টাফ রিপোর্টার : লেজার পার্লারে চাকরি করতে এসে পার্লার মালিকের স্বামীর সাথে পরকীয়া। এরপর প্রেমের অভিনয় করে মাত্র পনের দিনেই ফ্ল্যাট, গাড়ি, ব্যবসা সবই হাতিয়ে নিতে যাচ্ছিলো। বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে এনিয়ে হুলস্থুল কান্ড ঘটে গেছে। রুনা লায়লা (৩০) নামে ওই তরুণীর স্বামী রাসেল খান (৪১) কে ডেকে অভিযোগ জানানোর পরে রাসেল এসে প্রকাশ্যেই মারধর করে রুনা লায়লাকে। অপরদিকে, চতুরতার সাথে এরইমধ্যে রুনা লেজার পার্লার শান্তার নিকট থেকে নগদ এক লাখ টাকা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন শান্তা।
ফরিদপুর শহরের অনাথের মোড়ের নিকট অবস্থিত ইয়াং লাইফ এস্থেটিক অ্যান্ড সেন্টারে গত ১২ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই রাসেলকে আটক করে। এদিকে, সেদিনের ঘটনায় মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত রুনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর রুনার বাবা সাহেব আলী মোল্যা বাদি হয়ে লেজার মালিক শান্তা, তার স্বামী রুমন (৪০), ভাই নাসির (৩৪), স্বামী রাসেল ও তানিয়া (২২) নামে পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে, লেজার মালিক শান্তা ইসলাম বাদি হয়ে আরেকটি অভিযোগ করেন থানায়।
শান্তা বলেন, ফরহাদ নামে পরিচিত এক যুবকের মাধ্যমে গত মাসে রুনা লায়লাকে চাকরি দেয়ার অনুরোধ আসে। এরপর মেয়েটির অসহায়ত্ব বিবেচনা করে তাকে কাজে লাগাই। কিন্তু সে এই অল্প সময়ের মধ্যে পরকীয়া করে আমার স্বামীকে পটিয়ে সংসার ভাঙার চেষ্টা চালায়। এরপর তার স্বামী রাসেলকে ডেকে বিষয়টি জানাতে চাই। কিন্তু রাসেল এসে তাকে মারধর করে। আমাদের হুমকি দেয়। এমনকি আমরা বাধা দিতে গেলে মারতে উদ্যত হয়। তখন কিছু ধস্তাধস্তি হয়। এসময় সম্ভবত কোনভাবে রুনা লায়লার মাথা ফেটে যায়। শান্তা বলেন, রুনার পরিবার এ ঘটনার পরে দুই লাখ টাকা দাবি করে। না দেয়ায় মিথ্যা মামলা করেছে আমাদের বিরুদ্ধে। আমরাও প্রকৃত ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ করেছি থানায়।
তবে রুনা লায়লার দাবি, ফরহাদ তাকে অসামাজিক কার্যকলাপের প্রস্তাব দেয়। এতে সম্মত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে মারধর করে চাকরি থেকে বিদায় করে দেয়। হোয়াটসঅ্যাপে রুমনের সাথে তার পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। অবশ্য ঘটনার দিনে সোফায় বসা রুনা লায়লাকে মারধর করলেও ফরহাদকে মামলার আসামি করা হয়নি। এব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই মাসুদ ফকির বলেন, পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত। কথাবার্তার একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। তিনি বলেন, ঘটনার পর শান্তা ইসলাম একটি অভিযোগ করেন থানায়। এছাড়া রুনা লায়লার বাবা একটি মামলা করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply