বিজয় পোদ্দার, ফরিদপুর : তুমি রহমোর আগে/জীবনের পুরভাগে তুমি যাও চলে পদ চিহ্ন ফেলে/আমি যাই সেই দাগে দাগে….। আদর্শ আর চেতনার জ্যোর্তিময় ছটায় জীবনের দিব্য জ্ঞানের সন্ধানে মানুষ ছুটে বেড়ায়। কেউ পায় কেউ পায় না। অমৃত সুধা আর আত্মশুদ্ধতায় আমাদের জীবন হোক সুন্দর ও পবিত্র। ঈশ্বর প্রীতির স্পর্শ আসুক প্রতিটি মানুষের জীবনে। লোভ লালসার হিং¯্রতা বের হয়ে আমরা মানুষকে ভালবাসি। এই ভালবাসার দৃঢ় প্রত্যায়ে একজন মানুষ ছাত্র রাজনীতিতে অদ্যাবধি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় হেটে চলেছেন তিনি আমাদের সকলের প্রিয় মানুষ ফরিদপুর নগরকান্দা পৌরসভার বর্তমান মেয়র নিমাই চন্দ্র সরকার।
সাধারণের অসাধারণ ঘুম থেকে ওঠে সারাদিন ও মান যিনি মানুষের সেবা আর উন্নয়নের সংকল্পে নিজেকে নিংড়ে দেন। আদর্শ সততার জন্য বেশির ভাগ স্থানেই তাকে রক্ত চক্ষুর সম্মুখিন হতে হয়। আর একের পর এক ষড়যন্ত্র তো আছেই তারপরও তিনি মোটেও ভয় করেন না। এই যে ভয় না করার প্রবনতা এটা তার সততার সাহস এখনও বাস করেন সেই বাপ দাদার আমলের ভাঙ্গা চোরা টিনের ঝুপরি ঘরেই বাস করছেন। এতে যে কোন সময় বিপদ হতে পারে যেনেও তিনি অন্যদিকে ধাবিত হবেন না বলে জানান। ১৯৯২ সালে নগরকান্দা সরকারি মহা বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতির পথ চলা শুরু হয়। প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর হাতে।
২০০৯ সালে শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নগরকান্দায় যুবলীগকে বেগবান ও শক্তিশালী করার সংগ্রামে তার মেধা ও পরিশ্রম রয়েছে। বর্তমানে তিনি নগরকান্দা শহর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক ও নির্বাচিত পৌর মেয়র। মানুষের কাছে তার চাওয়া কেবলই ভালবাসা। দুঃখ পান কখন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতিতে ঘাপটি মেরে থাকা স্বাধীনতা বিরোধী গুপ্ত চরদের অমানুষিক কর্মকান্ডে। জীবনের প্রিয় মানুষ হিসাবে জীবনের প্রিয় মানুষ হিসাবে আজও শ্রদ্ধেয় প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। জীবনের রাজনৈতিক প্রিয় জন হিসাবে রয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কবি নিমলেন্দু গুনের কবিতায় সংগ্রাম খুজে পান। দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রীর আহবান গুরুত্ব দিয়ে সকলকে কৃষি শিল্প চর্চায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এই মহান মানুষটি ০১ জানুয়ারি, ১৭৭৬ সালে ফরিদপুর নগরকান্দায় জন্মগ্রহণ করেণ। পিতা স্বর্গীয় অনিল চন্দ্র সরকার, মাতা স্বর্গীয়া জীবনী বালা সরকার, এক বোন তিন ভাই, স্ত্রী সঞ্জিতা ও বড় পুত্র মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। কথিত আছে এই সড়ক দুর্ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছিল। সেই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেয়র নিমাই সরকারকে সামরিক ইয়ার এম্বোলেন্স এ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে সুস্থ্য করে তোলেন। আজ তার সন্তান ও স্ত্রী নাই কিন্তু তার দহনের অশ্রæতে শান্তনার মর্মবাণী পান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর মানুষের ভালবাসায়। গত ১৪ই ফেব্রæয়ারি আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নৌকা মার্কা নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।
Leave a Reply