স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষার্থীদের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ফরিদপুরে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ। বুধবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের কার্যালয়ে ও প্রধান ফটকের তালা লাগিয়ে সামনে অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ ক্যাম্পাসে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে। পরে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেন।
শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম জানায়, অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অযৌক্তিক পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে অতিরিক্ত অর্থ নেন, সেইপ প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাত, ভুয়া ভাউচার বানিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচারণ করেন। প্রতিবাদ করলে হয়রানি করা হয় শিক্ষার্থীদের। আরেক শিক্ষার্থী তাহমিদ হোসেন বলেন, সামনে আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। জেনারেটর নষ্ট হয়ে আছে। কয়েকদিন আগে জেনারেটর ঠিক করার জন্য ৪০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে, কিন্তু জেনারেটর ঠিক হয়নি। এদিকে খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন ও জেলা ছাত্রলীগের নেতারা। পরে বিকেল ৪টার দিকে অবরুদ্ধ অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আপাতত তারা আন্দোলন করবে না। অবরুদ্ধ অধ্যক্ষকে ক্যাম্পাস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে আলোচনা সাপেক্ষে সমাধান করা হবে। ফরিদপুরে মেরিন টেকনোলজির অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোন সত্যতা নেই। সম্প্রতি র্যাগিং করার জন্য পাঁচ ছাত্রকে হল থেকে বহিস্কার করা হয়। যদিও তারা শেষ পর্যন্ত হল ত্যাগ করেনি। তারাই অন্য ছাত্রদের প্ররোচিত করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন তাকে তার কক্ষে আটকে রাখার সময় তার মুঠোফোনটিও কেড়ে নেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় তিনি মুক্ত হন। প্রসঙ্গত ফরিদপুর শহরতলীর আদমপুর এলাকায় ২০১৪ সালে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে ৯ম ব্যাচ চলছে।
Leave a Reply