স্টাফ রিপোর্টার :
জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিকে ঘিরে ফরিদপুরের নগরকান্দায় রাতের আধারে শোক দিবস পালন উপলক্ষে নির্মিত তোড়ন ভেঙ্গে ফেলা ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দলের প্রতিপক্ষকে দুষছেন তারা।
জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ফরিদপুরের নগরকান্দায় জেলা মৎস্যজীবি লীগ নেতার নামে তৈরি করা তোরন ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ রবিবার দুপুরে নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের শশা গ্রামের কাজী মঞ্জিলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি কাজী আব্দুস সোবহান এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি কুচক্রী মহল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শোক দিবসের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে ও তোড়নের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।
তিনি বলেন, গতকাল রাতে ৩টার পর জয়বাংলার মোড়ের গেটটিতে সাটানো ব্যানার সম্পূর্নভাবে ছিড়ে ফেলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন এগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। নগরকান্দা থানার সামনে, স্কুল মাঠে, পৌরসভার বিভিন্নস্থান, সালথা, কাগদি বাজার, মাঝারদিয়া বাজার এলাকার সব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হককে বিষয়টি জানাবেন বলে তিনি জানান। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে নগরকান্দা উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের আহ্বায়ক মো. দেলোয়ার হোসেন সহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে নগরকান্দা পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা নিমাই চন্দ্র সরকার বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করেনা তারাই শোক দিবসের কর্মসূচিকে ঘিরে এহেন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ তদন্ত ও জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
এব্যাপারে জানতে সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী বলেন, আমরা নগরকান্দা-সালথা এলাকায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। এক পক্ষকে কোনঠাসা করে অপর পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। লাবু চৌধুরী বলেন, দলের মধ্যে গ্রুপিংয়ের রাজনীতি তৈরি করা ঠিক নয়। এছাড়া শোক দিবস পালন উপলক্ষে নির্মিত তোড়ন ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলারও নিন্দা জানান তিনি। #
Leave a Reply