মোঃ সরোয়ার হোসেনঃ ফরিদপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠেছে ভোটের হাওয়া। আগামী ১৭ অক্টোবর নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থী,সমর্থকদের পদচারনায় মুখর এলাকা। এই নির্বাচনে যদিও শুধু জনপ্রতিনিধিরাই ভোটার, তবু জেলার নয়টি উপজেলা বিপুল উদ্দিপনা নিয়ে চলছে ভোটের উচ্ছাস ও আনন্দ । নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় ৯ উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা মোট ১ হাজার ১৮১ জনের সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে চলছে জনপ্রতিনিধিদের মন জয় করার প্রচেষ্টা। প্রার্থীরা দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রæতি। বৈঠক,জন সংযোগ, ভোট প্রার্থনা সব মিলিয়ে এ লড়াইয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন প্রার্থী সহ সদস্য প্রার্থীরা।
এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ ফারুক হোসেন (আনারস), স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, সাবেক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যুবলীগের অর্থ স¤পাদক মোঃ শাহাদাৎ হোসেন (চশমা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নূর ইসলাম সিকদার (মোটর সাইকেল)। ৩ জন প্রার্থী থাকলেও বর্তমানে ভোটের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দু প্রার্থী মোঃ শাহাদাত হোসেন এবং মোঃ ফারুক হোসেন। অপরদিকে সংরক্ষিত পদে ১১ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী রয়েছেন ৩৭ জন। এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ১৮১ জন।
জানা গেছে, হাইকমান্ডের নির্দেশে জেলা পরিষদের নির্বাচনের কোন বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হবে না। এতে নির্বাচনে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা।শাহাদাৎ হোসেন এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য দলীয় মনোনয়ন চেয়ে বঞ্চিত হয়ে দলীয় পদ ছেড়ে দিয়ে তিনি প্রার্থী হন। তবে নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না থাকায় কেউ বাড়তি সুবিধা পাবেনা। সেক্ষেত্রে প্রচারনায় এগিয়ে থেকে শাহাদাত হোসেন ভোট ব্যাংক বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। মাঠের লড়াইয়ে শাহাদাত হোসেন বিশেষ করে প্রচারনায় তিনি বেশ এগিয়ে। অপর দিকে জেলা আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ফারুক হোসেনও মাঠ গরম করে চলেছেন।
ফারুক হোসেনের পক্ষে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন রুটিন করে দলবলে ছুটে যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। অপরদিকে ফরিদপুর-৪ আসনের এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে তার সমর্থক ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার চেয়ারম্যান এবং ২৪ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার ও একটি পৌর সভার মেয়র কমিশনারগন রয়েছেন শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে। তার এ বাড়তি সুবিধা পেয়ে তারাও ছুটছেন জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে।
একাধিক ভোটারের সাথে আলাপকালে অনেকেই বলেন,এই বার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলিও নেতা-কর্মিরা ফারুক হোসেনের সাথে থাকলেও, বিগত নির্বাচনের আগে কিংবা নির্বাচিত হওয়ার পরে কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাদের খোঁজ নেইনি, আমরাও আওয়ামী লীগ করি আমরাও জননেত্রী শেখ হাসিনা কে ভালোবাসি,কিন্তুু এবারও যদি ভাঙ্গা উপজেলা থেকে শাহাদাৎ হোসেন প্রার্থী না হতো তাহলে কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাদের খোঁজ নিতেন না, তাই আমরা বুঝে শুনে ভোট দিবো, যে আমাদের সন্মান দিবে, এলাকার উন্নয়ন এর বিষয়ে আলোচনা করবেন, তাকেই আমরা ভোট দিব। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, আগামী ১৭ অক্টোবর ইভিএম পদ্ধতিতে ফরিদপুরের নয়টি উপজেলার নয়টি কেন্দ্রে ১ হাজার ১৮১ জন ভোটার ভোট দেবেন।
Leave a Reply