স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী (আনারস প্রতিক) ৩২ হাজার ৩১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনিরুল হাসান (টেলিফোন) পেয়েছেন ২৯ হাজার ৩৩ ভোট। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইমান আলি চশমা প্রতীকে ৪০ হাজার ২৭৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মনিরুজ্জামান মনির উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৪০৯ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকে ৫৩ হাজার ১৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মাসুদা বেগম। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী রুখশানা আহমেদ কলস প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৫৯৪ ভোট। গত বুধবার ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে এ উপজেলায় মোট ১৫৪ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে জেলা আওয়ামীলীগ সমর্থতি ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী (আনারস প্রতিক) নিয়ে নির্বাচিত হওয়ায় ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে আনন্দ-উচ্ছাস করে নেতা কর্মিরা। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামিম হক ও সাধারন সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ বিজয় পরবর্তিতে নেতা কর্মিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।
এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছেন ৬ জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ফকির মো. বেলায়েত হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ৫৪০ ভোট, কে এম নাজমুল কাপ পিরিচ প্রতীকে ৮৪১ ভোট, গোলাম রব্বানী খাঁন দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ৯৮০ ভোট ও রউফ উন নবী হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৩৪ ভোট। এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. আশিক টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ১০ হাজার ৬১২ ভোট, আলমগীর হোসেন বই প্রতীকে ৬ হাজার ৮০ ভোট ও শাহিদ আল ফারুক তালা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৬৫ ভোট।
উল্লেখ্য উপজেলা নির্বাচনের আগের দিন আড়াই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ফরিদপুরের বহুল আলোচিত দুই ভাইসহ ৪৭ জনের নামে দেওয়া সম্পূরক অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) আসামি সামচুল আলমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত। গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আড়াই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার আসামি সামচুল আলম ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই মামলায় সম্পূরক চার্জশিটের আরও দুই আসামি অমিতাভ বোস ও গোলাম নাসির আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত অমিতাভ বোস ও গোলাম নাসিরের জামিন মঞ্জুর করলেও সামচুল আলমের জামিন না মঞ্জুর করেন। কারাগারে থেকেই সামসুল আলম এ নির্বাচনে বিজয়ী হন।
Leave a Reply