স্টাফ রিপোর্টার : ৬ বছরে পেরিয়ে গেলেও এখনো বিচার সম্পন্ন হয়নি ফরিদপুরের মেধাবী কলেজ ছাত্রী সাজিয়া আফরিন রোদেলা হত্যা মামলার। ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিয়ের মাত্র দেড় মাস না যেতেই স্বামীর বাড়ি নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই বিচারের আশায় দিন গুনছে তার পরিবার। অন্যদিকে মামলার মূল আসামি স্বামী সোহানুর রহমান (৩৪) এখনো গ্রেফতার হয়নি। ফরিদপুরের সরকারি সারদা সুন্দরি মহিলা কলেজের ইংরজির অনার্সের ছাত্রী সাজিয়া আফরিন রােদেলা শহরের আলিপুর খাঁবাড়ি মহল্লার শওকত হােসেন খানের মেয়ে।
২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারী গােয়ালচামট মহল্লার নতুন বাজার এলাকার জনৈক মমিনুর রহমান সন্টুর ছেলে সােহানুর রহমান সােহানের সাথে তার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর যৌতুকের দাবিতে বিয়ের দেড়মাস না যেতেই তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালানো হয়। এ ঘটনায় রোদেলার পরিবার স্বামী সোহান সহ তার শাশুড়ি, ননদ ও শশুড় বাড়ির লোকদের আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে। মামলা নং- ৪১৭/১৭।
রোদেলার মৃতদেহের ময়নাতদন্তের ভিসেরা রিপোর্টে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া যায়। ব্যাপক তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কােতয়ালী থানার এসআই গাফফার ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
এ মামলায় চার্জশীটভুক্ত আসামীরা হলেন, স্বামী সোহানুর রহমান সোহান, ননদ সুমি বেগম, শাশুড়ি আনােয়ারা বেগম, ভাসুর মাে: সুমন, ভাসুরের স্ত্রী রেখা বেগম, শ্বশুর মােমিনুর রহমান সন্টু, ননেেদ স্বামী মাে: হাফিজ, ও সােহানের মামাতাে ভাই সাজিদ।
মামলার অন্য আসামীরা গ্রেফতার হলেও প্রধান আসামি ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের নিযুক্ত এপিপি অ্যাডভোকেট স্বপন কুমার পাল জানান, বর্তমানে আদালতে মামলার সাক্ষ্য-শুনানি চলছে। ১৭ জন সাক্ষির মধ্যে ৭ জনের সাক্ষি গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুতই বিচার কাজ সম্পন্ন হবে। সাজিয়া আফরিন রােদলার মা রুমা খান বলেন, গত ৬ বছর যাবত আমরা ন্যায় বিচারের আশায় অপেক্ষা করছি। আমি রোদেলার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
Leave a Reply