স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরে একটি মেহগনি বাগান থেকে আসাদুজ্জামান নুর ওরফে তুরাগ (২০) নামে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের বাঁ হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন, ডান হাতে কোপের দাগ, দুই হাঁটুতে কোপের আঘাত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে জেলা সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত তুরাগ জেলা শহরের মধ্য আলীপুর কানাই মাতুব্বর মোড় এলাকার আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উত্তর আলীপুর এলাকার কুমার নদের উপর একটি সেতুর ওপাড়ে অম্বিকাপুর এলাকার জামাল মোল্লার মেহগনি বাগানের পশ্চিম পাশে আসাদুজ্জামানের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত তুরাগ ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিবাহিত তবে নিঃসন্তান ছিলেন বলে স্থানীয়রা নিশ্চিত করেন।
নিহত আসাদুজ্জামানের ভাই মো. আবুল হাওলাদার বলেন, ওই এলাকায় কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী সক্রিয় রয়েছেন। তাদের সঙ্গে ঝামেলার জের ধরেই ওই মাদক ব্যবসায়ীরা আমার ভাইকে ধারল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে এবং তার বাম হাত কেটে নিয়ে যায়। এদিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি পরিদর্শন করেছে সিআইডির ক্রইম সিন দল ও পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, মৃতের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা বাম হাতটি তাৎক্ষণিকভাবে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ হাতটি হত্যাকারী দূরে কোথাও ফেলে দিতে পারে। মরদেহের আশপাশে হাতটি পাওয়া যায়নি। আসাদুজ্জামান মাদকাসক্ত ছিলেন। তাকে এ পথ থেকে ফেরানোর জন্য পরিবারের সদস্যরা মাদক নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা পর্যন্ত করিয়েছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাহউদ্দীন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহের পাশে ইয়াবা খাওয়ার সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply