ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সদ্য কমিটি হওয়া স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি মো. আওয়াল হোসেন কমিটি থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার সন্ধ্যায় সাপ্তাহিক বোয়ালমারী বার্তা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আওয়াল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন যাবত নিষ্ঠার সাথে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন করে আসছি। গত ১১ মার্চ জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সাতৈর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সে সম্মেলনেও আমি সাধারন সম্পাদকের প্রার্থীতা ঘোষণা করি। দ্বিতীয় সম্মেলনে বোর্ডের অধিকাংশ সদস্য ও ভোটারগণ আমার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন। তবে সেই সম্মেলনে কমিটি ঘোষণা না করে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি স্থগিত রাখেন। পরে দুই মাস পর রাতের আঁধারে কাউকে না জানিয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কামরুল সিকদার ও সাধারন সম্পাদক বাকের ইদ্রিস দলের গঠনতন্ত্রের নিয়ম না মেনে সভাপতির নিজস্ব কার্যালয়ে বিএনপি পরিবারের সদস্যকে অনৈতিকভাবে সাতৈর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক এবং আমাকে সহসভাপতি করে কমিটি ঘোষণা করেন। যা আমাকে না জানিয়ে করা হয়। বিএনপি ও অরাজনৈতিক ব্যাক্তিকে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক করায় আমি স্বেচ্ছাসেবকলীগের বর্তমান সহসভাপতি পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলাম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বিকাশ কর্মকার বলেন, ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবকলীগের ১৬জন সদস্যদের নিয়ে বোর্ড গঠন করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে। সেখানে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি বাদে ১৫জন সদস্য আওয়াল হোসেনকে সাধারন সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করেন। সেখানে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কামরুল সিকদার কমিটি গঠন স্থগিত করে বলেন, কিছু দিন পরে কমিটি ঘোষণা করা হবে। দুই মাস পরে ২২ মে রোববার রাতের আঁধারে অবৈধভাবে কমিটি ঘোষণা করেন। এমন ভাবে আওয়ামী লীগ দলের ত্যাগি নেতাদের বাদ দিয়ে বিএনপি পন্থিদের নিয়ে কমিটি করা হলে দলের শোচনীয় অবস্থা হবে বলে মন্তব্য করেন। উপজেলা যুবলীগের সদস্য সৈয়দ গালিবুর রহমান তানিন বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। আমি দেশ রত্ন শেখ হাসিনার একজন নিষ্ঠাবান কর্মী হিসেবে বলতে পারি সাতৈর ইউনিয়নের বর্তমান স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক যাকে করা হয়েছে তারা বিএনপি, জামাত পরিবারের সন্তান। দলের সুখের সময় তারা প্রবেশ করে আওয়ামী লীগ দলকে হুমকির মুখে ফেলবে । এমন লোকদের আওয়ামী লীগে জায়গা দিলে দল অচিরেই ধ্বংসের মুখে পড়বে। তাই আমাদের দলীয় উর্ধ্বতন নেতা কর্মীদের কাছে অনুরোধ পুনরায় বিবেচনা করে অনুপ্রবেশকারীদের দল থেকে বের করে ত্যাগিদের মূল্যায়ন করার আহবান জানাই।
Leave a Reply