1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
সালথায় বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র চুরি করে বিক্রি
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০১:০৫ অপরাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

সালথায় বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র চুরি করে বিক্রি

  • Update Time : রবিবার, ২৪ জুলাই, ২০২২
  • ৪১২ জন পঠিত
সালথায় বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র চুরি করে বিক্রি
সালথায় বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র চুরি করে বিক্রি

মনির মোল্যা, সালথা : ফরিদপুরের সালথা উপজেলার পুরুরা সাধুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত ঘরের লোহার বেঞ্চ ও জানালার গ্রিল আসবাবপত্রসহ মূল্যবান মালামাল বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুল কমিটির সভাপতি ইদ্রিস মোল্যা ও পিকুল হোসেন নামে স্কুলটির এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অভিভাবক এবং এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে সালথা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নিয়ামত হোসেন অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় পিকুল হোসেন নামে ওই শিক্ষককে শোকজ করেছে। এ নিয়ে ছাত্র/ছাত্রী অভিভাবকের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টির পুরাতন ঘরের ২৬ জোড়া বেঞ্চ, ২৫ পিচ টিন, দুটি দোলনা, বেশ কিছু লোহার এঙ্গেল (যার মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা) কোনো টেন্ডার কিংবা কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে গত ১৯ জুলাই স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে দেন। পরে এ ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে শনিবার (২৩ জুলাই) স্কুলটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, স্কুলটির শিক্ষকবৃন্দ এবং স্থানীয় লোকজন ডেকে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। সরকারি সম্পত্তি এভাবে বিক্রির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় তীব্র সমালোচনা দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে অভিযোগ উঠা স্কুলটির সহকারী শিক্ষক পিকুল হোসেন বলেন, এটা আমি একা বিক্রি করিনি। স্কুল কমিটির সভাপতিসহ ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা বসে রেজুলেশন করে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিক্রি করা হয়েছে।স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল হক বলেন, আমি ওইদিন একটা জরুরি মিটিং-এ স্কুলের বাইরে থাকায় আমি ব্যাপারটি জানিনা। তিনি দাবী করেন, তাকে না জানিয়েই আসবাবপত্রগুলো বিক্রি করা হয়েছে।

এব্যাপারে স্কুল কমিটির সভাপতি মো. ইদ্রিস মোল্যা বলেন, স্কুলে সবাইকে নিয়ে বসে রেজুলেশন করে আসবাবপত্রগুলো বিক্রি করা হয়েছে। সরকারি জিনিসপত্র টেন্ডার ছাড়া বিক্রি করা যায় কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমার জানা নেই। তিনি আরও বলেন, আমরা ম্যানেজিং কমিটি, স্কুলটির সকল শিক্ষক, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। এব্যাপারে সালথা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান বলেন, স্কুলের পুরাতন একটি ঘরের কিছু আসবাবপত্র বিক্রি করেছে বলে জানতে পেরেছি। পরে বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসার স্যারকে জানালে স্যার এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এব্যাপারে সালথা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নিয়ামত হোসেন জানান, আমাকে জানানো হলে তাকে শোকজ করা হয়েছে। এছাড়া স্কুলটির আসবাবপত্র বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে। সরকারি জিনিসপত্র টেন্ডার ছাড়া বিক্রি করা যায় কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে এ শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, এগুলো অল্প কিছু আসবাবপত্র ছিল, অন্যদিকে বড় ধরনের জিনিসপত্র না হলে এটা বিক্রি করলে সমস্যা কিসের?

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION