স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ খান রাজের (২৬) ওপর হামলার ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল জবিউল্লাহকে শোকজ করেছে জেলা ছাত্রলীগ। শনিবার (১২ আগস্ট) বিকালে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক শাশ্বত চক্রবর্তী অর্ঘ্য স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়। শোকজে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ফরিদপুর জেলা শাখার এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে, সালথা উপজেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল জবিউল্লাহর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সংগঠন পরিপন্থী কার্যক্রমে লিপ্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অতএব, ইসমাইল জবিউল্লাহ কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবেনা তার কারণ লিখিতভাবে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ফরিদপুর জেলা শাখার দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হলো। এর আগে শুক্রবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া গট্টি বাজারে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ খান রাজের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
ফিরোজ খান রাজ জানিয়েছিলেন, সালথা থেকে ফরিদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে এ অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল জবিউল্লাহের নেতৃত্বে এ অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। ফিরোজ খান উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া গ্রামের মমরেজ খানের ছেলে। এবং অভিযুক্ত ইসমাইল জবিউল্লাহ উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড় বালিয়া গ্রামের মনি মোল্লার ছেলে।
ঘটনার বিষয়ে ফিরোজ খান রাজ বলেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়ান ভাইয়ের কবুতরের জন্য ধান কিনতে শুক্রবার সন্ধ্যায় বালিয়া বাজারে গিয়েছিলাম। ইজিবাইকে ধান উঠানোর পরে ফ্লেক্সিলোডের দোকানে গিয়ে বিকাশ নম্বর থেকে টাকা বের করতে গেলে হঠাৎ পেছন থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল জবিউল্লাহসহ ১৫ থেকে ২০ জন আমার ওপর হামলা করে। এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, থাপ্পড় মারতে থাকেন তারা। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে প্রতিহত করেন। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে এমপি মহোদয়ের নির্দেশে স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা হবে বলে শুনেছি।
এব্যাপারে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বলেন, সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল জবিউল্লাহর বিরুদ্ধে একই উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ খান রাজের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিন কার্যদিবসের মধ্যে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। সন্তোষজনক উত্তর বা জবাব না পেলে প্রয়োজনে ইসমাইল জবিউল্লাহকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হবে।
Leave a Reply