মনির মোল্লা, সালথা প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের সালথায় বিষপানে সিতারা আক্তার (২২) নামে এক যুবতীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে সোনাপুর ইউনিয়নের বড় বাংরাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিতারা মাঝারদিয়া ইউনিয়নের হোড়েরকান্দী গ্রামের আইয়ুব সরদারের মেয়ে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ হত্যা।
নিহত সিতারার পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানান, পাশ্ববর্তী সোনাপুর ইউনিয়নের বড় বাংরাইল গ্রামের বিশাই শেখের ছেলে মালায়েশিয়া থাকতে আওলাদ শেখ (৩৮) এর সাথে মোবাইলে বিয়ে হয় সিতারার। গত ৩ অক্টোবর মালয়েশিয়া থেকে আওলাদ শেখ বাড়িতে আসে। এরপর দ্বিতীয় স্ত্রী সিতারার বাবার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করে আওলাদ। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্বামী আওলাদ শেখের বাড়িতে যায় সিতারা। সেখানে সিতারা বিষপান করে। পরে শশুর বাড়ির লোকজন সিতারাকে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
বিষপান করার বিষয় জানার অনেক পরে হাসপাতালে নেয়া এবং সময় মতো চিকিৎসা না দেওয়ায় সিতারা মারা গেছে বলে স্থানীয়দের দাবী। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে আওলাদ শেখ পলাতক রয়েছেন।
অপরদিকে হাসপাতাল থেকে সিতারার লাশ নিয়ে আসার সময় লাশের সাথে থাকা আওলাদ শেখের দুই বোনকে মারধর করে নিহতের স্বজনরা।
খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন।
নিহত সিতারার মা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে সকালে ভালোভাবে বাড়ি থেকে বাহির হয়ে গেছে। মেয়ে কখন বিষ খেয়েছে বা তারা কখন হাসপাতালে নিয়ে গেছে তা আমাদের জানায়নি। তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ে গার্মেন্সে চাকরি করে। আওলাদের বউ ও দুটি সন্তান থাকা সত্বেও আমার মেয়ে সিতারাকে ফুসলিয়ে মোবাইলে বিয়ে করে। ওরা আমার মেয়েকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলেছে। আমি আমরা মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
আওলাদ শেখের প্রথম স্ত্রী রেবেকা বেগম বলেন, সকাল ৮টার দিকে সেতারা আমাদের বাড়িতে এসে বলে আমি বিষ খেয়ে এসেছি আমাাকে হাসপাতালে নেন। পরে বাড়ির লোকজন সিতারাকে প্রথমে ফুলবাড়িয়া বাজারের ডাক্তারের কাছে নেয়। অবস্থা খারাপ দেখে পরে নগরকান্দা হাসপাতালে নেয়া হলে দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শেখ সাদিক বলেন, বিষপান করে মারা গেছে শুনেছি, নগরকান্দা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে তারা লাশ নিয়ে এসেছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। #
Leave a Reply