স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ওই ব্যাক্তিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে ওই ব্যাক্তিকে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। আজ বৃহস্পতিকবার দুপুর দেড়টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ আদেশ দেন। রায় প্রদানের সময় আসামী শহরের উত্তর আলীপুর মহল্লার বাসিন্দা মো. আক্কাস শেখ (৩৫) আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায় প্রদানের পর তাকে পুলিশ প্রহড়ায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। মামলার এজাহার ও আদালতের রায় সুত্রে জানা যায়, ছেলে শেখ আক্কাস মাদকাসক্ত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে মাদক সেবন করতেন। গত ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে আক্কাস মা আমেনা বেগম (৫০) এর নিকট নেশা করার জন্য টাকা চান। আমেনা বেগম টাকা দিতে অস্বীকার কবরলে আক্কাস প্রথমে মাকে একটি মেহগনি গাছের ডাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এর ফলে মা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এরপর আক্কাস দা দিয়ে মায়ের মাথায় কোপ দিয়ে পালিয়ে যান। এলাকাবাসী মুমুর্ষ অবস্থায় েেআমনা বেগমকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিনই মৃত্যু হয় আমেনা বেগমের। এ ঘটনায় আক্কাসের বাবা মো. মোজাহার শেখ (৭৫) বাদী হলে ছেলেকে একমাত্র আসামী করে পরদিন ৭ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতায়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফরহাদ হোসেন ২০১৮ সালের ১৩ এপ্রিল মাকে হত্যার দায়ে ছেলে আক্কাসকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের পিপি নওয়ার আলী মৃধা জানান, আসামি আক্কাস পরে গ্রেপ্তার হন এবং তিনি জেল হাজতে ছিলেন। তিনি বলেন আদালত এ হত্যা মামলার ন্যায় বিচার করেছেন। এ রায়ের ফলে সমাজে ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হবে।
Leave a Reply