ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ৯টি ক্লিনিকের অনুমোদন না থাকায় বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া তিনটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
শনিবার বিকেলে এ সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়। অভিয়ান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারিয়া হক। এ সময় সাথে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. খালেদুর রহমান।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী পৌর সদরের ওয়াপদার মোড়ে অবস্থিত সেবা ক্লিনিককে ৫ হাজার, মডার্ন ল্যাবরেটরিকে ৫ হাজার এবং আইডিয়াল ডায়াগনস্টক সেন্টারকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। লাইসেন্স না থাকায় আধা ঘন্টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আলনুর চক্ষু এন্ড জেনারেল হাসপাতাল, সেবা সার্জিক্যাল ক্লিনিক, মডার্ন ল্যাবরেটরী, আইডিয়াল ডায়াগস্টিক সেন্টার ও স্বর্ণা সর্জিক্যাল ক্লিনিক। আর লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় এক মাসের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন অথবা এক মাস পর বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আল আমিন সার্জিক্যাল ক্লিনিক, মোল্যা আহমেদ হোসেন মেমোরিয়াল জেনারেল হসপিটাল, কোহিনুর ডায়াগনস্টিক এন্ড জেনারেল হাসপাতাল ও দ্যা ইস্টার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে।
এ ছাড়া অভিযানের খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়েছে নুরজাহান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মিম ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং সেতু সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক পক্ষ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক অবৈধ ও লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিকি ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্রগুলোতে অবিযান পরিচালনা করা হয়। অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারিয়া হক বলেন, বিভিন্ন অনিয়ম, লাইসেন্স না থাকা এবং লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় দন্ডবিধির ১৯৮২ সালের ৮ ও ১৩ ধারায় জরিমানা ও অবৈধ ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply