বোয়ালমারী( ফরিদপুর) প্রতিনিধি ঃ বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ফসলি জমি ও জমির শ্রেণী পরিবর্তন না করে সড়ক ও গ্রামীণ রাস্তায় ট্রলি দিয়ে মাটি যাচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন নিচু যায়গা ভরাটের জন্য। এতে করে যেমন সরকারি রাস্তা বিনষ্ট হচ্ছে তেমনি এলাকার মানুষসহ সমস্যা হচ্ছে পথচারীদের। ঘোষপুর ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামের রাজা মিয়া কাটছেন চার একর জমির একটি দিঘি। পুরান পুকুর সংস্করণসহ যোগ দিয়েছেন ভিটে কাটার উৎসবে। চার একর দিঘির মাটি যাচ্ছে এলাকার বিভিন্ন লোকের নীচু জমি ভরাটের জন্য। গাড়ি প্রতি স্থান ভেদে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকাও নিচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে খামারপাড়া ও রতনদিয়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই মাটি বিক্রির সাথে সাবেক চেয়ারম্যানের ভাই জড়িত অাছে। তিনি এগুলো কন্টোল করেন ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারিনা। ট্রলির দাপটে অামরা বাড়িতে থাকতে পানিনা। ধুলাবালিতে খাবার নষ্ট হয়ে যায়। অাবার বিদ্যুৎ থাকেনা যে জানালা বন্ধ করে রাখব। অামরা খুব কষ্টের মধ্যে অাছি। অাপনাদের লেখালেখির মধ্যে দিয়ে দেখেন এই মৃত্যু দানব ট্রলি বন্ধ করা যায় কিনা।
এ ব্যাপারে দিঘির মালিক রাজা মিয়াকে কল দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ঘোষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন নবাব বলেন,অামি মাটি কাটা দেখছি অাপনি এসে ইউএনওর মতো ভেকু পুড়ায় দিয়ে যান।
এদিকে মাইজকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ দিয়ে গড়ে ওঠা ইটের ভাটায় মাটি নেওয়ার জন্য ভাটাগুলোর কাছে মহাসড়ক এখন মহা কাঁচা রাস্তায় পরিণত হয়েছে। জয়নগর বটতলা,সৈয়দপুর, ভাটপাড়া ও সাইনবোর্ড এলাকার সড়ক দিয়ে ধুলাবালির কারণে এখন যাতায়াত করা একেবারেই দুর্বিষহ। বৃষ্টি হলে কাঁদার জন্য চলাচল করার অনুপযোগী হয়ে যাবে বলে অনেক পথচারী মন্তব্য করেন। অনিচ্ছায় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যেটা মৃত্যু পর্যন্ত গড়াতে পারে।
শেখর গ্রামের ব্যবসায়ী হাফিজুর বলেন, সাইনবোর্ড দিয়ে ধুলাবালির জন্য যাতায়াত অনেকটা ঝুকিপূর্ণ। চোখ বন্ধ করে যেতে হয় কিছু দেখা যায় না। প্রশাসন এগুলো দেখেও না দেখার ভ্যান করে থাকে।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.রেজাউল করিম বলেন,অামি অন্যায়ের বিরুদ্ধে, ন্যায়ের পক্ষে সব সময় অাছি এসবের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply