স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে দল থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. রউফউন্নবী। বহিস্কৃত হয়েও তিনি তার নির্বাচনী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি হেলিকপ্টার প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছেন। রউফউন্নবীর প্রত্যাশা তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হবেন। বিএনপি তাকে বহিস্কৃত করলেও বিএনপির নেতাকর্মীদের ৮০ ভাগ ভোট তিনি পাবেন। তবে রউফউন্নবীর এ দাবি নাকচ করে দিয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, ‘তিনি বিএনপি নামের কলঙ্ক, ভোটাররা থু থু মারবে তাকে’।
গত সোমবার বিকেলে রউফউন্নবী বলেন, ‘আমার অবস্থা অনেক ভালো। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে আমিই জয়লাভ করবো।’ জয়ের ব্যাপারে এতটা নিশ্চিত হওয়ার ব্যাখ্যা দিয়ে রউফউন্নবী বলেন, ‘বিএনপির কট্টোরপন্থী ১০ থেকে ২০ ভাগ নেতা কর্মী ভোট দিতে যাবে না। তবে তিনি নিশ্চিত বিএনপির বাকি যে ৮০ ভাগ নেতা ও কর্মী রয়েছেন তারা ভোট দিতে আসবেন এবং তাকেই ভোট দেবেন।’ পারিবারিকভাবেই নির্বাচনমুখী-মন্তব্য করে রউফউন্নবী বলেন, এর আগে একাধিকবার তিনি ইউপি নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন। কর্মী সমর্থকদের সংগঠিত রাখতে এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে তিনি এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
ঘোড়াদহ ও লস্করকান্দি নামে দুটি কেন্দ্র তার জন্য ঝুকিপূর্ণ মন্তব্য করে রউফউন্নবী বলেন, এ দুটি কেন্দ্রের ব্যাপারে আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন বলেন, যিনি দল থেকে বহিস্কার হয়ে গেছেন তিনি এখন আমাদের দলের কেউ নন। তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন নিয়ে প্রহসন হচ্ছে। অর্থ ধ্বংস করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে।
এ নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোন আগ্রহ নেই। বিএনপির ৮০ ভাগ নেতা-কর্মী তাকে ভোট দেবে রউফউন্নবীর এ প্রত্যাশার ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা বলেন, বিএনপি ভোট বর্জন করেছে। ভোট কেন্দ্রেই যাবে না বিএনপির কোন নেতা-কর্মী। আর তাকে (রউফউন্নবী) তো ভোট দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না, তাকে ভোট দেবে কে ‘তিনি বিএনপি নামের কলঙ্ক, বরং জনগণ তাকে থু থু মারবে।’
Leave a Reply