1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
ফেসবুকে সম্পর্ক : সিলেটের তরুণী প্রেমের টানে ফরিদপুরে - আজকের ফরিদপুর
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

ফেসবুকে সম্পর্ক : সিলেটের তরুণী প্রেমের টানে ফরিদপুরে

  • Update Time : রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২০৮ জন পঠিত
ফেসবুকে সম্পর্ক : সিলেটের তরুণী প্রেমের টানে ফরিদপুরে
ফেসবুকে সম্পর্ক : সিলেটের তরুণী প্রেমের টানে ফরিদপুরে

স্টাফ রিপোর্টার : ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্কের টানে সিলেট জেলা থেকে ফরিদপুরে ছুটে এসেছেন সঞ্জিতা বালা দেব (১৯) নামের এক তরুণী। ফরিদপুরে এসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন ভালোবাসার মানুষ প্রেমিক জয় কুমার বোস (২২) এর সঙ্গে। নব দম্পতিকে দেখতে ভিড় করছেন আশপাশের লোকজন। প্রেমিকা সঞ্জিতা বালা সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের বাহুবল গ্রামের সঞ্জিত দেবের মেয়ে। সঞ্জিতা শাহাপরান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। সঞ্জিতার বাড়ীতে ছোট এক ভাই ও বোন আছে। তিন ভাইবোনদের মধ্যে তিনিই সবার বড়।

সঞ্জিতার মা’র নাম মনি রানী দেব। আর জয় কুমার বোস ফরিদপুর সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের পশরা গ্রামের মৃনাল কান্তি বোসের ছেলে। তিনি জেলার সদরপুর সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। এই যুগল তাদের পরিবারের সহযোগিতায় সনাতন ধর্মীয় মতে বিয়ে সম্পন্ন করেন। তার মাতার নাম উষা রানী বোস। এই যুগলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফেসবুকে পরিচয়ের সুবাদে সঞ্জিতার সাথে প্রেমিক জয় বোসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় বছর দেড়েক ধরে পরিবারের অজান্তে তাদের সম্পর্ক। আর যতদিন যায় প্রেম গভীর হতে থাকে। এক পর্যায়ে তরুণীর পরিবার জেনে যায় তাদের প্রেমের বিষয়টি। সিলেট থেকে ফরিদপুরের দূরত্ব অনেকটা বলে।

এই কারণে প্রেমে বাধা দেন বাবা সঞ্জিত দেব। অনেক চেষ্টায় বাবাকে এক পর্যায়ে রাজি করাতে সক্ষম হন তরুণী সঞ্জিতা। এরপর ছেলের পরিবারেরও সম্মতি পায়। অবশেষে সববাধা পেরিয়ে গত(৪ নভেম্বর) শনিবার ফরিদপুরে প্রেমিক জয় বোসের কাছে আসেন তরুণী সঞ্জিতা। আসা মাত্র ফরিদপুর আদালত থেকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ও সনাতন ধর্মীয় বিধান মতে পুরহিতের মাধ্যমে পবিত্র বেদ মন্ত্র পাঠ করিয়া শাঁখা সিঁদুর পরিধান করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে।

সঞ্জিতা জানান, জানাজানির পর বাবা প্রথমে বিষয়টি মানতে পারছিলেন না। অনেক চেষ্টায় জয়ের পরিবারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ হওয়ায় পর সম্পর্ক মেনে নিয়েছে। ভালোবাসার মানুষের সাথে জীবন কাটানোর জন্যে মা বাবা পরিবার ছেড়ে একাই ঝুঁকি নিয়ে এতদূর চলে আসেন। আর পছন্দের মানুষকে বিয়ে করে অনেক সুখে থাকবে বলে জানিয়েছে সঞ্জিতা। প্রেমিক জয় বসু বলেন, সঞ্জিতাকে পেয়ে আমি খুবই খুশি। আমরা দুইজনে হিন্দু ধর্মীয় মতে পবিত্র বেদ মন্ত্র পাঠ করিয়া ও আইন অনুযায়ী বিয়ে সম্পন্ন হয় তাদের। এতে আমার ও সঞ্জিতার পরিবারের সবাই খুশি। আমরা দুইজনে সারাজীবন এক সঙ্গে থাকতে আমাদের জন্য সবাই আশীর্বাদ করবেন।

জয়ের বাবা মৃনাল কান্তি বোস বলেন, অল্প সময়েই আমি বুঝেছি মেয়েটা অনেক ভালো। সৃষ্টিকর্তা আমাকে একটি মেয়ে দিয়েছে এখন ছেলের বউ হিসেবে আরেকটি মেয়ে পেলাম। আমার ছেলেকে ভালোবেসে অন্য একজনের মেয়ে আমার বাড়ীতে নিজের জেলার সবকিছুর মায়া ত্যাগ করে আরেক জেলায় এসেছে। আমি তাকে নিজের করে দেখবো। আমার ছেলে ও বৌমাকে আশীর্বাদ করি তারা সংসার জীবনে সুখের হোক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION