স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরে শহরে একটি বাস ও একটি ট্রাকে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ফরিদপুর নতুন বাসস্ট্যান্ডে একটি বাসে এবং রবিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে শহরের ধলার মোড় এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন দেওয়ার এ ঘটনা ঘটে। ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বাস ও ট্রাকে অগ্নিসংযোগের দুটি ঘটনাকে নাশকতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। রবিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বাসস্ট্যান্ডের উত্তর দিকে ট্রামিনালের পিছনের দিকে দাঁড়িয়ে থাকা সাউদিয়া পরিবনের ৫২ আসনের একটি বাসে (ফরিদপুর-ব- ১১ ০০২৪) আগুনে পুড়ে গেছে বাসের আসনগুলি।
ওই সময় ওই বাসের সহযোগী বাঁকা মাতুব্বর (৪৫) ঘুমাচ্ছিলেন। ধোয়ায় তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। বাঁকা বলেন, তিনি বাসের সামনে দিকে একটি কয়েল জ¦ালিয়ে ঘুমচ্ছিলেন। ঘুম ভেঙ্গে উঠে তিনি দেখতে পান বাসের পিছনে আগুন জ¦লছে। তিনি দ্রæত বাসের সামনের দিকের দরজা খুলে বের হয়ে আসেন। অল্প সময়ের মধ্যে পুরোবাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। জাতীয় জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে ফরিদপুর দমকল বাহিনীর একটি দল এসে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। আগুনে বাসের ভিতরের অংশ পুড়ে যায়। বাসের আগুন নেভাতে অংশ নেওয়া ফরিদপুর দমকল বাহিনীর সাব অফিসার আকতার হোসেন বলেন, বাসের পিছনের এবং আশেপাশের জাানালার কাচ ভাঙ্গা ছিল।
হেলপার বাঁকা বাসে ঘুমাচ্ছিলেন তিনি তার কিছুই টের পাননি বলে জানান। তিনি বলেন, বাসের ইঞ্জিন ও টায়ারগুলি অক্ষত ছিল শুধু সিটগুলি পুড়ে গেছে। তবে বাসের ভিতরে পেট্রলের কোন গন্ধ পাওয়া যায়নি। কেই শত্রæতামূলক ভাবে বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এতে প্রায় ৮-১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে ওই বাসের মালিক ফরহাদ হোসেন জানান। এর আগে রবিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে শহরতলীর ধলার মোড় এরাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে (ফরিদপুর ট-১১-০৩৪১) আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ট্রাক চালক মাহবুবুর রহমান ট্রাকটি বাড়ির সামনে রেখে নামাজ পড়তে যান। ট্রাকের সামনের দরজা খোলা অবস্থায় ছিল। আগুনে ট্রাকের সামনের অংশ পুড়ে গেছে। ওই ট্রাকের মালিক মো. আসাদুর রহমান বলেন, চালকের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা আমার ট্রাকটি পেট্রল বোমা ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এর ফলে তার প্রায় তিন লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। মো. আসাদুর রহমান আরও বলেন, ধলার মোড়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই ট্রাক থেকে ডিক্রিরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিস কয়েক মিটার দূরে। তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রস্ত অবস্থায় আছি। গাড়ি দাড়ানো ছিল, ‘আমরা কি পাপ করেছি’-মন্তব্য করে তিনি বলেন, এমনিতেই ব্যবসা বাণিজ্য নেই, তার উপর এ ক্ষতি কিভাবে পোশাবো। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, এ দুটি ঘটনাই নাশকতা। দপুরে বাস বা ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনা এই ঘটলো। তিনি বলেন, দুটি ঘটনার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ চাই করে এ দুটি ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply