স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে অর্থের বিনিময়ে জখমী সার্টিফিকেট বাণিজ্যের অভিযোগ করছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার। বুধবার (২৫ মে) সকাল ১১ টায় ফরিদপুর জেলা শহরের ঝিলটুলীতে অবস্থিত লা-লীগা ক্যাফে এন্ড পার্টি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে সুরুজ্জামান সুরুজ নামে এক ভুক্তভোগী মাহেন্দ্রচালক এ অভিযোগ করেন। সুরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কয়েকমাস আগে আমার স্ত্রী সাগরিকা বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় আসামী লাল মিয়া গংদের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করে।
মামলা দায়ের করায় আমাকে ধাঁরালো রামদা ও ছেনদা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আমার মাথায় গুরুতর জখম করে তারা। পরে আমার মাথায় ৬১ টি সেলাই লাগে এবং ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হই। পরে অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে এবং দীর্ঘদিন সেখানে চিকিৎসধীন অবস্থায় অবস্থায় থাকতে হয়। পরে, ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মহসিন উদ্দিন ফকির ও তার অনুসারীরা আসামীদের সাথে যোগসাজশে চিকিৎসাপত্র যথারীতি অনুসরণ না করে উৎকোচের বিনিময়ে বিবাদীকে খুশি করার জন্য দুর্বল সার্টিফিকেট প্রদান করে। যাহাতে আমি মারাত্মক ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হই।
তাই এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিচার দাবী করেন সংবাদ সম্মেলনে। এব্যাপারে অভিযোগ উঠা ডা. মহসিন উদ্দিন ফকির সব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবী করে বলেন, রোগী দেখা, উৎকোচ কিংবা রোগীকে সার্টিফিকেট দেওয়ার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। একটি মহল বিশেষ উদ্যেশ্যে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। এব্যাপারে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, আমরা এব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply