স্টাফ রিপোর্টার : মুজিব বর্ষকে কেন্দ্র করে গ্লোবাল থিংকার্স সোসাইটি নানা আয়োজন করে আসছে ২০২১ সাল থেকে। এবং ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে গ্লোবাল ল থিংকার্স সোসাইটি শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ক্যাম্প সারা বাংলাদেশের ১৪ টি জেলায় করার ঘোষণা দেয়।তারই ধারাবাহিকতায় ১২ তম জেলা হিসাবে ফরিদপুরের মধুখালিত উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে ৪-৬ বছরের শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে ২৩ই ফেব্রুয়ারী বুধবার সকাল ৯ঃ০০ ঘটিকায়, এই ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয়।সেখানে ৭০ জন শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজার বিতরণ, শিশুদের সাথে কথোপকথন ও তাদের মানসিক সাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে সঠিক কাউন্সেলিং করা হয়।
সেই সাথে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যার সাথে শিশুরা কিভাবে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে সে ব্যপারে পরামর্শ প্রদান করা হয়। এছাড়াও শিশুদের স্কুল ব্যাগ, প্যাড, কলম, টি শার্ট এবং পুষ্টি উপাদান যেমন গুড়া দুধ, সি-ভিট প্রদান করা হয়। ঝউএ এর ২,৩ এবং ৪ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে মূলত ক্যাম্পটি করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন মোঃ আশিকুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মধুখালী, ফরিদপুর।
অনুষ্ঠান উদ্ভোদন করেন ডাঃ মাসেতা নওরিন ও সভাপতি হিসাবে ছিলেন জিএলটিএস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাওমান স্মিতা এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন জিএলটিএস এর ডেপুটি ডিরেক্টর মোঃ মাহির দাইয়ান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সুরাইয়া সালাম, জেলা পরিষদ সদস্য, ফরিদপুর, রফিকুল ইসলাম, মধুখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, শরীফ মোঃ মোর্তজা আহসান, চরভদ্রাসন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, ইসমাইল হোসেন৷ মধুখালী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, কল্লোল সাহা, মধুখালী উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা। এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেম মোঃ হাসিব শেখ, জেলা জিএলটিএস এর চিফ লিডার এবং জেলা লিডারগণ।
শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্যে জিএলটিএস ডেপুটি ডিরেক্টর মোঃ মাহির দাইয়ান বলেন – আজকের শিশুকে যদি আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হিসাবে গড়ে তুলতে হয় তাহলে আমাদের শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা নিশ্চিত করণের সাথে সাথে তারা জানি জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার নিশ্চিত করণ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর জন্য দরকার বোধে অভিভাবক এবং শিশুদের নিয়ে একসাথে সেশন করা যায় সপ্তাহিক।
প্রধান অতিথিঃ আশিকুর রহমান চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন – শিশুরদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় এটি একটি মহতী উদ্যোগ, করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুদের মানসিক খতি হয়েছে। এই রকমের মহতি উদ্যেগ কাজে দিবে বলে আশা করি। উদ্ভোধনী বক্তব্য ডাঃ মাসেতা নওরিন বলেন – শিশুদের পুষ্টি সেবা নিশ্চিতকরণের সাথে সাথে মায়ের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করণেও জোড় প্রদান করতে হবে যাতে সুস্থ শিশুর বিকাশ হয়।
বিশেষ অতিথি সুরাইয়া সালাম, জেলা পরিষদ সদস্য, ফরিদপুর – তিনি বলেন পরিবেশ কে বাঁচাতে হবে, তা নাহলে একটি দূষিত পৃথিবী অপেক্ষা করছে আমাদের বাচ্চাদের জন্য। দূষিত পরিবেশ শিশুদের মানসিক ও শুধু ক্ষতি করে। অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং জিএলটিএস এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রাওমান স্মিতা বলেন – আমাদের শিশুরা গড়বে আগামীর দেশ। এই বিবেচনা আমাদের প্রত্যেকের থাকতে হবে। শিশুর স্বাস্থ্য, মানসিক বিকাশ ঘটানো প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে।
অভিভাবকদের সর্বোপ্রথম সচেতন হতে হবে এবং তাদের কাজে কর্মে সেই সচেতনার বহিঃপ্রকাশ থাকতে হবে। শিশুরা আগালে দেশ আগাবে। এই আয়োজনে সহযোগী পার্টনার হিসাবে আছে ডানো আরলা, জিলাটিসিমো, একমি, নাভানা। শিশুরা যেন মানসিক ও শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে পারে তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্য জিএলটিস সর্বোপরি কাজ করে যাচ্ছে।
Leave a Reply