স্টাফ রিপোর্টার : ঋতুচক্রে এখন শরৎকাল। তবে দিনে প্রখর রোদ ও শেষ রাতে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে ফরিদপুর জেলার সর্বত্র। দিন-রাতে তাপমাত্রার এমন পরিবর্তনের কারণে নারী-শিশুসহ সব বয়সি মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সাথে হঠাৎ বেড়েছে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ। গত দুই সপ্তাহে এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার শত শত নারী-পুরুষ ও শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিদিনই চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। তবে চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত পুরুষের সংখ্যাই বেশি।
এদিকে জেলা ও উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন বাজারের ফর্মেসিগুলোতে চোখের ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে চাহিদা মতো ড্রপ না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে রোগীরা। চিকিৎসকরা বলছেন, ভাইরাসজনিত চোখ ওঠা রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে এ রোগে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরিদপুরের প্রায় প্রত্যেক গ্রামেই চোখ ওঠা রোগ হানা দিয়েছে। প্রতিদিনই সরকারি হাসপাতাল, গ্রাম্য চিকিৎসক ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে চোখ ওঠা রোগীরা ভিড় করছেন। বাড়ির একজন সদস্য আক্রান্ত হলে পরিবারের প্রায় সব সদস্যই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
সাধারণত চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে ময়লা হওয়া, চোখে ব্যথা অনুভব ও খচখচ করা, রোদে অস্বস্তি লাগা লক্ষণ নিয়ে রোগীরা চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা ৪-৫ দিনের মধ্যে ভালো হলেও বড়দের ক্ষেত্রে ৮ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা জানান, দিনে গরম রাতে শীত এমন অবস্থায় জ্বর, সর্দিকাশি ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
এ কারণে জেলার হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে কিছুদিন যাবৎ ‘চোখ ওঠা রোগী প্রায় ঘরে ঘরে। ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও দ্রুত বেড়ে চলেছে। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি চোখ পরিষ্কার রাখা এবং সূর্যালোকে কালো রঙের চশমা ব্যবহারের পরামর্শসহ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হচ্ছে।
Leave a Reply