1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
এমপির হুমকির মুখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদুল - আজকের ফরিদপুর
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

এমপির হুমকির মুখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদুল

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪
  • ২৯১ জন পঠিত
এমপির হুমকির মুখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদুল
এমপির হুমকির মুখে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদুল

স্টাফ রিপোর্টার : সদরপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের (২৯ মে) ৪৮ ঘন্টা আগে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সনের হুমকির মুখে নিজের ও কর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদুল ইসলাম। ফরিদপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের মরহুম সাংবাদিক শামসুদ্দীন মোল্লা মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ।

নিক্সন চৌধুরী সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘উনি আসলে একটা মানসিক ভারসাম্যহীন লোক। ওনার কথায় এতো গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নাই।’ এ সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কন্ঠে শহীদুল ইসলাম বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন থেকেই তিনি ওই আসনের সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরীর হুমকির মুখে রয়েছেন। নিক্সন চৌধুরী তাকে বসে যাওয়ার জন্য প্রথমে অনুরোধ ও পরে ধমকা-ধমকি করেছেন। কিন্তু তিনি নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত রাখেন। তিনি বলেন, এ অবস্থায় গত ২১ মে সকাল ১০টার দিকে নিক্সন চৌধুরী তার বাড়িতে এসে জোর জবরদস্তি করে তাকে তুলে নিয়ে যান।

এরপর তাকে ভাঙ্গায় এমপির বাড়িতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলতে বাধ্য করেন। তিনি বলেন, আমি বাড়িতে আসার পর হাজার হাজার জনতার অনুরোধে আমি নির্বাচন করার ইচ্ছে পোষণ করি। জনগণের চাপের মুখে ভোটের অধিকার রক্ষায় আমি নির্বাচন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। লিখিত বক্তব্যে শহীদুল ইসলাম বলেন, গত ২৫ মে রাতে সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী তার বাড়িতে সদরপুরের নেতাকর্মী ও তার সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী সভা করেন। ওই সভায় নিক্সন চৌধুরী তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

উপজেলার ৬৮ কেন্দ্রে তার কোন এজেন্ট রাখবেন না বলে হুমকি দেন। এই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ হয় এ জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সুশিল সমাজ, নির্বাচন কমিশনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আবেদন জানিয়ে শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন যদি আমি হেরে যাই তাহলে আমি মাথা পেতে নেব। কিন্তু আমার উপর এখন এত চাপ, জীবননাশের হুমকি। আমি এখন টিকে থাকতে পারছি না।’ শহীদুল ইসলাম বলেন, এমপির ওই বক্তব্যের পর আমার ৬৮টি কেন্দ্রের নেতাকর্মীদের উপরও প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত তাদের টেলিফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাদের সেন্টারে ঢুকতে দেবে না, এজেন্ট হতে দেবে না, প্রকাশ্যে ভোট সিল দিয়ে নিয়ে নেবে-এসব কথা বলে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে।’

শহীদুল ইসলাম আবেগঘন কন্ঠে বলেন, ‘এখন আমার জীবন নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি, আমি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবো কিনা জানিনা। আমি ও আমার নেতাকর্মীদের জীবনের আশংকাসহ বিভিন্ন ভাবে ভুগছি। আপনাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং আমি যাতে জীবন নিয়ে বাঁচতে পারি সেই ব্যবস্থা আপনারা করবেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ বলেন, তার ব্যাপারে কি বলবো। একজন সংসদ সদস্য হয়ে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন উনি তা দিতে পারেন না। উনি নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করেছেন। জননেত্রী মন্ত্রী এমপিদের নির্বাচনের প্রভাবের বাইরে থাকতে বলেছেন। কিন্তু উনি তা মানছেন না।

শাহ মো. ইশতিয়াক বলেন, উনি বলেছেন শফিকাজী (নিক্সন সমর্থিত প্রার্থী কাজী শফিকুর রহমান) এ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী নন প্রার্থী উনি নিজে। উনি এখন এমপি থেকে উপজেলায় নেমে এসেছেন। শাহ ইশতিয়াক বলেন, এ সব কথা বলে সদরপুরের নির্বাচন ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছেন নিক্সন চৌধুরী। নির্বাচনের দিন শে^ত সন্ত্রাস করার চেষ্টা করবে। অবিলম্বে নিক্সন চৌধুরিকে ভাঙ্গা সদরপুর এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক এটা আমাদের দাবি। উনি এ এলাকায় থাকলে পরিবেশ আরও নষ্ট হবে। তাকে সদরপুর-ভাঙ্গা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে নিক্সন চৌধুরীর এ বক্তব্য সমস্পর্কে জানতে চাইলে শাহ মো. ইশতিয়াক বলেন, উনি আমাকে নিয়ে বহুবার এসব কথা বলেছেন। তারপরও আমি ভাঙ্গা গেছি। উনি আসলে একটা মানসিক ভারসাম্যহীন লোক। ওনার কথা এতো গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নাই।

এসময় অন্যদের মধ্যে সদরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহŸায়ক আবু আলম রেজা, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. ফরহাদ মিয়া, সদস্য কাজী কুদ্দুসুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন, সদরপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ইয়াকুব আলী মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে শহীদুলের বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে নিক্সন চৌধুরী বলেন, শহীদুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছিল, গত নির্বাচনে বিপুল ভোটে হেরেছেন তিনি উপজেলায় প্রতিটি কেন্দ্রে এজেন্ট দেবেন কিভাবে। ‘নির্বাচনে পরাজিত হবেন জেনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব কথা বলছেন’-মন্তব্য করে নিক্সন চৌধুরী বলেন, তিনি আরেকটি সাংবাদ সম্মেলন করবেন আগামী ৩০ মে, ওইদিন বলবেন ‘নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে’।

‘তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন’-জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এ বক্তব্য সম্পর্কে নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আমি মানসিক ভারসাম্যহীন হলে পর পর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলাম কি ভাবে। উনি (ইশতিয়াক) সন্ধ্যার পরে কোথায় থাকেন কি করেন তা সকলে জানে। একজন নেশাগ্রস্ত লোকের পক্ষেই এসব কথা বলা সম্ভব।’ প্রসঙ্গত তৃতীয় দফায় আগামী ২৯ মে সদরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এরা হলেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান (মোটর সাইকেল) ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম ওরফে বাবুল (আনারস)। এ নির্বাচনে কাজী শফিকুর রহমানকে সমর্থন দিয়েছেন নিক্সন চৌধুরী।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION