স্টাফ রিপোর্টার :
বৈশিক মহামারী করোনা যখন দেশের মানুষ আতঙ্কিত এমন সময়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে অধ্যক্ষ ডা. প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমানের বিদেশ সফর নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে গতকাল ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৬৩ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে অন্যত্র পেশনে পাঠানোয় জেলার চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে জেলার চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো, সাইফুর রহমান বলেন, আমার এখানে ডাক্তারের প্রয়োজন হলে বঙ্গবন্ধু মেিিডকেল কলেজ থেকে আনতে হয়। এসময় করোনা ডেকিকেটেড হাসপাতাল থেকে এতো পরিমান ডাক্তার অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরবে।
জানা যায়, ফরিদপুর জেলাসহ রাজবাড়ী, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ জেলার করোনা রোগীদের পরিক্ষা ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে স্থাপিত পিসিআর ল্যাব থেকে করা হয়ে থাকে। বর্তমানে এখানে প্রতিদিন ৫ শত করোনা পরিক্ষা করা হয়। এখানে আরো একটি পিসিআর ল্যাবের সংযোজনের কাজ প্রায় শেষের পথে, যা এ মাসেই উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে।
এ জেলায় মোট আক্রান্ত ১৩ হাজার ৭৮৫ সুস্থ ১১ হাজার ৫৪৭ জন। মোট মৃত ২৩৫ জন। মৃতের হার ১.৭০ ভাগ। আইসোলেশনে আছে এক হাজার ৬৭৮জন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের সহকারী জেসমিন আরা জানান, অধ্যক্ষ গত বুধবার ক্যানাডা গিয়েছে। তবে কতদিনের ছুটি নিয়েছে বা কোন তারিখে ছুটি ইস্যু হলো তা তিনি বলতে পারে নাই।
কলেজের একাধিক প্রভাষক জানান, অধ্যক্ষ বিদেশে যাওয়ার সময়ে তার পছন্দে প্রভাষকদের বাদ দিয়ে অপছন্দের ডাক্তারকে করোনা বিভাগে চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। যার ফলে করোনা ইউনিটে একই ডাক্তার বার বার ডিউটি থাকায় ডিউটিতে তাদের হিমশিম খাওয়ার পাশাপাশি অবহেলাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর ফলে সাধরণ রোগীরা করোনা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডা. মোস্তাফিজুর রহামান ভুলু বলেন, তার মতো এমন একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এমন কাজ করবে তা মেনে নেওয়া যায় না।
ফরিদপুর স্বাচিবের সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা, এম এ জলিল বলেন, অধ্যক্ষে বিদেশ ভ্রমন স্বাস্থ্য সেবায় নেতিবাচক প্রভার পড়বে।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. দিলরুবা জেবা বেেলন, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কেেলজ হাসপাতাল থেকে যে ডাক্তার অন্যত্র পাঠানো হচ্ছে এ বিষয়ে আমাদের তরফ থেকে তা বাতিলের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তবে অধ্যক্ষর ব্যপারে তিনি বলেন, মন্ত্রনালয় তাকে ছুটি দিয়েছে। তিনি না থাকলেও কোন অসুবিধা হবে না।
Leave a Reply