স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরে ১২ ঘন্টার অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জেলা ফরিদপুরে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ। ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্ত¡রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এ অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৬টায়। বিকেল ৬টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান পানি পান করিয়ে এ অনশন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ব্যাক্তিদের অনশন ভাঙ্গান।
সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন ও দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, পার্বত্য চুক্তি ও পার্বত্য ভুমি কমিশনের যথাযথ বাস্তবায়র, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, সমতলের অদিবাসীদের জন্য পৃথক ভুমি কমিশন গঠনসহ সরকারি দলের গত নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রæত অঙ্গিকারসমূহ বাস্তবায়নের দাবিতে দেশের অন্যান্য জায়গার মত ফরিদপুরে এ অনশন কর্মসূটি পালন করা হয়।
কর্মসূচি চলাকালে ফরিদপুরে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যক্তিবর্গ দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। সংহতি প্রকাশ করে ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের সভাপতি আওলাদ হোসেন বলেন, এদেশ স্বাধীন হয়েছে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীস্টানসহ ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির রক্তে। এদেশে বাঙালির বাংলাদেশ। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। এদেশে ধর্মীয় সংখ্যাগুরু কিংবা সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতি ফরিদপুর সদরের তাম্বুল খানায় নির্মানাধীন দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত দুর্বিত্ত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। কর্মসূচি চলাকালে ফরিদপুর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের আহŸায়ক ভবতোষ বসু রায়ের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা শাখার সদস্য সচিব অলোক সেন, আহŸায়ক কমিটির সদস্য মানিক মজুমদার, অরুণ মন্ডল, সত্যজিৎ মুখার্জি, বোয়ালমারীর সভাপতি কৃষ্ণচন্দ্র সাহা, মধুখালীর সভাপতি সুবল চন্দ্র বিশ^াস, নগরকান্দার সাধারণ সম্পাদক বিধান বিশ^াস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর বি্িযভন্ন কায়দায় অত্যাচার নির্যাতন চলছে। প্রতীমা ভাঙচুর কিংবা ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগম মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর অগ্নি সংযোগ করা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে। অথচ এসব ব্যাপারে আইনের যথাযথ প্রয়োগ না করায় এ প্রবণতা দিনে দিনে বেড়ে যাচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে তাদের দাবি মেনে নিয়ে সমাজে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপদ আবাসস্থল গড়ে তোলার দাবি জানান।
Leave a Reply