মোঃ সরোয়ার হোসেন, ভাঙ্গা : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের মক্রমপুট্টি ও চানপট্টি গ্রাম এবং চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামবাসীর মধ্যে এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘারুয়া এবং পূর্বসদরদী বাজারের ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো হামলা এবং ব্যাপক ভাংচুরের শিকার হয়। প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ জানায়,গত কয়েকদিনের ঘটনার জেরে গতকাল ঘারুয়া বাজারে প্রতিপক্ষ পূর্বসদরদী গ্রামের লোকজনের হামলার জের ধরে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে মক্রমপট্টি ও চাঁনপট্টি গ্রামে তিন শতাধিক লোক জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, রামদা প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘারুয়া ব্রিজসংলগ্ন পূর্ব সদরদী বাজারে হামলা চালায়। এতে প্রায় ২৫-৩০টি দোকান ঘর ভাংচুর এবং লুটপাটের শিকার হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উভয়পক্ষের দাবি, উভয় এলাকার কিছু উচ্ছৃঙ্খল উঠতি বয়সের কিশোর গাং নামে পরিচিত মাদক সেবনের সাথে জড়িত। সূত্রে প্রকাশ কয়েক দিন পূেের্ব উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের চানপুট্টি গ্রাম ও মক্রমপুট্টি গ্রামের মোড় এলাকায় পূর্ব সদরদী এলাকার কিছু বখাটে কিশোর গ্যাং মাদক সেবন করতে যায় । এতে মক্রমপুট্টি এলাকার কিশোর গ্যাং নামে পরিচিত কয়েক তরুন মাদক সেবনে বাধা দিলে কথা কাটি কাটি হয়। এর জের ধরে শুক্রবার মক্রমপুট্টির বেশ কয়েকজন তরুন ঘারুয়া স্কুল মাঠে ফুটবল খেলতে আসলে পূর্ব সদরদী কিশোররা উস্কানি দেয় এবং পরে এ নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় পূর্বসদরদী কিশোরদের পক্ষ হয়ে ওই এলাকার লোকজন ঘারুয়া বাজারে হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এর জের ধরে শনিবার সকালে ঘারুয়া ইউনিয়নের মক্রমপুট্টি ও দক্ষিণ চাঁনপুট্টির লোকজন সংঘবদ্ব হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পূর্ব সদরদীর বাজারের দোকান পাট ভাঙচুর করে।
এই সময়ে অন্তত ৩০ টি দোকান ক্ষতিগ্রস্থ হয় বলে ভুক্তভোগীরা জানান। ক্ষতিগ্রস্থ জনৈক ব্যাক্তি জানান,পূর্ব সদরদী নতুন বাজারের ভিআইপি স্যালুনের ভিতরে গ্যাসের পাত্র ভাংচুর করা হয়। এছাড়া নাসির ডেকারেটের ২ টি বক্স ও ২ টি মিক্সছার সেট এবং মানিক মিয়ার ৭ থেকে ৮ মন পাট নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। অপরদিকে গতকাল বিকালে সজীব কনফেকশনারিতে হামলা চালিয়ে একটি ফ্রিজ ভাংচুর করে এবং কুতুব স্টোরে একটি তেলের ব্যারেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে ক্ষতিগ্রস্থরা অভিযোগ করেন। এই বিষয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
Leave a Reply