স্টাফ রিপোর্টার : ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে জেলা পরিষদ নির্বাচন অনেক গুরুত্ব বহন করে। স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন সরকারের জনপ্রিয়তার প্রমাণ বহন করে। তাই জেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থন দিয়ে পেছন থেকে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি-জামাত। দলের মূল স্রোতের বাইরে যেয়ে যারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিবেন, আমরা দেখে দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।’ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ ফারুক হোসেন এর নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল একথা বলেন। আজ মঙ্গলবার ১১ অক্টোবর বিকেলে শহরের সেরিন গার্ডেন নামে একটি অভিজাত হোটেলে এর আয়োজন করা হয়। সভায় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ফারুক হোসেন তার বক্তৃতায় বলেন, যুবলীগের একজন কর্মী হিসেবেই আমি শেখ হাসিনার রাজনীতি করে আজ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নেমেছি। আমি মনে করি আমার বিপক্ষে অবস্থান নেয়া মানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া৷ আপনারা তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রার্থী হিসেবে আমার জন্য কাজ করবেন এটুকুই কামনা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল ও সদস্য নিয়াজ জামান সজিব। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠুর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মেহেদি হাসান শামীম তালুকদার, খান মোঃ রাসেল, সদস্য তৌফুক হোসেন পুচ্চি বক্তব্য দেন। বক্তাগণ বলেন, ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত ফারুক হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী৷ তাই তার বিপক্ষে অবস্থান নেয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধাচরণ করা।
তারা ফারুক হোসেনকে বিজয়ী করতে যুবলীগের নেতৃবৃন্দকে সর্বশক্তি নিয়োগের অনুরোধ জানান। তারা বলেন, দলের মূল স্রোতের বাইরে যেয়ে যারা আনারসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন, আমরা দেখে দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। কারা কারা ফারুক হোসেনের বিপক্ষে কাজ করছেন সব তথ্য রয়েছে আমাদের হাতে। ফরিদপুরে যিনি প্রার্থী হয়েছেন তিনি যুবলীগের নেতা ছিলেন। আবার যিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তিনিও যুবলীগের পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। যারা ফারুক হোসেনের পক্ষে কাজ করবেন না তারা শেখ হাসিনার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ফারুক হোসেন রাজনীতি করতে এসে যতোদিন জেল খেটেছেন ততোদিন অনেকের রাজনীতির বয়সও হয়নি। সভায় জেলা কমিটি সহ বিভিন্ন উপজেলা যুবলীগের প্রায় অর্ধ শতাধিক শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত করায় তারা সভায় আমন্ত্রিত ছিলেন না। প্রসঙ্গত, আগামী ১৭ অক্টোবর ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ফারুক হোসেন সহ তিনজন প্রার্থী রয়েছেন।
Leave a Reply