সবুজ দাস : ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবন্ধি স্বর্ন ব্যবসায়ী নিজের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানা যায় ১৮ ই জুলাই সোমবার বৃক্ষ মেলা ২০২২ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বন্যার্ঢ র্যালী বের করা হয়। ঠিক তার আগমুহুর্তে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মেইন ফটকের পাশেই পেট্রোল ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে স্বর্ণ ব্যবসায়ী গৌড়াঙ্গ কর্মকার।
পরে র্যালীতে উপস্থিত থাকা বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় ঐ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে উদ্ধারের সময় ঐ স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পকেটে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত ঐ চিরকুটি ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও পৌর মেয়র বরাবর খোলা চিঠি। উদ্ধারকৃত ঐ চিরকুট সুত্রে জানা যায়, স্বর্ন ব্যবসায়ী গৌড়াঙ্গ কর্মকার ও তার অন্য প্রতিবন্ধি ভাই শহরের নিলটুলিতে নয়ন জুয়েলার্স নামক একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারি।
গত ২৫ বছর ধরে ঐ দুই প্রতিবন্ধি ভাই স্বর্ণের ব্যবসা করে আসছে। তবে ঐ প্রতিষ্ঠানে স্বর্ণ সাজিয়ে ব্যবসা পরিচালোনা করতে না পারায়, তা মজুদ করে ব্যবসা পরিচালোনা করে আসছিলেন। এদিকে বৈশি^ক মহামারি প্রভাব দেখা দিলে ঐ দুই প্রতিবন্ধি ব্যবসায়ী মৃত্যুর আশংকা করে তার স্বর্ণ বিক্রি করে ব্যাংকে জমা রাখার সিন্ধান্ত নেয়। এ ঘটনা জানার পর পাশ^বর্তি পূর্ণ জুয়েলার্সের সত্তাধীকারি অয়ন কর্মকার সুমন ও তার পিতা সুধির কর্মকার মিলে ভড়ি প্রতি ২০০ টাকা বেশি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২৪ ক্যারেটের মোট ২৪০ ভড়ি ওজনের স্বর্ন নেয়।
এই স্বর্ণ দেওয়ার পরেই টাকা চাইতে গেলে অয়ন ও তার পিতা সুধির মিলে ঐ দুই প্রতিবন্ধি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কোন টাকা বা স্বর্ণ না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকে। একপর্যায়ে প্রতিবন্ধি গৌড়াঙ্গ কর্মকারের নাতির সংঙ্গে সুধির কর্মকারের ছেলের বিবাহ দিলে তারা স্বর্ণ ফেরত দেওয়ার কথা জানায়্। তার কিছু দিন পরেই অর্থ্যাৎ ২০২০ সালের ২০ শে ডিসেম্বর সুধির কর্মকার মৃত্যুবরন করেন।
তবে তার ছেলে অয়ন কর্মকার ঐ স্বর্ন বা টাকা না দিয়ে দুই প্রতিবন্ধি স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করতে থাকে। এ ঘটনার পর গৌড়াঙ্গ কর্মকার আইনের সরনাপন্ন হয়ে অয়ন কর্মকারকে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অয়ন কর্মকার গত ২৫ শে মে প্রতিবন্ধি গৌড়াঙ্গকে বাসায় ডেকে নিয়ে বিভিন্ন অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও এসিড দিয়ে পুড়িয়ে মারার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন কাগজপত্রে সই করাতে বাধ্য করে।
এর পর ঐ স্বর্ণ ব্যবসায়ী সঠিক বিচারের আশায় অনেকের দ্বারস্থ হয়েও সঠিক বিচার না পেয়ে ১৮ ই জুলাই সোমবার ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে আত্মহত্য্ াকরার পথ বেছে নেয়। এবিষয়ে সঠিক তদন্ত পুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ফরিদপুরের সচেতন মহল। এদিকে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য এই প্রতিবেদক স্বর্ন ব্যবসায়ী অয়ন কর্মকার সুমন এর প্রতিষ্ঠানে গেলে ঐ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply