সবুজ দাস, ফরিদপুর : ফরিদপুর শহরতলির গোয়ালচামট ২ নং সড়কের শেষের দিকে বাইপাস সংলগ্ন বিলকিস বেগম নামে এক বাড়িওয়ালীর রুম ভাড়া নিয়ে প্রেমিক যুগল আর দেহ ব্যাবসায়ীদের চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। এতে করে এলাকার ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সাধারন জনগনের সম্মানহীনতার ভয়ে রাস্তায় চলাচলেও মুশকিল হয়ে পরেছে। গত বৃহস্পতিবার বাড়িতে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় স্কুল কলেজের তরুন তরুনীসহ বাড়ির মালিক বিলকিস বেগম কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এসময় বিলকিসের দুই ঘরে তল্লাশী চালিয়ে ৩ রুম থেকে ফরিদপুর ও আসপাশের উপজেলাসহ রাজবাড়ি জেলার মোট ৫ জন উঠতি বয়সের ছেলে মেয়ে ও অন্য একটি রুম থেকে নাসির (৪০) নামে একজন দালালকে আটক করে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় ঐ বাড়িতে প্রতিনিয়তই অপরিচিত ছেলেমেয়েদের আনাগোনা দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। অন্যান্য দিনের ন্যায় গত বৃহস্পতিবারও একের পর এক ছেলে মেয়েদের জুটি ঐ বাড়িতে ঢুকতে দেখলে স্থানীয়রা তল্লাশী চালিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় দুই রুম থেকে এক জন করে ছেলে মেয়েসহ মোট ৪জন ও অন্য একটি রুম থেকে নাসির নামে এক ব্যাক্তিকে আটক করে। এ সময় আরো একটি রুমে একজন মেয়েকে পাওয়া গেলেও তার সাথে থাকা ছেলেটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এরা অনেকেই স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। পরে বাড়ির মালিক বিলডকিসসহ মোট৭ জন কে পুলিশের নিকট হস্থান্তর করে স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফরিদপুর পৌরসভার অন্তর্গত ৭ নং ওয়ার্ডের বাইপাস সংলগ্ন এ এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা না থাকায় রিতিমত একটি বিলে পরিনত হয়ে পুরো বছর ধরেই পানি ভেঙ্গে পথ চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের। আর এ বিলের মাঝেই একতলা বিশিষ্ঠ একটি ঘরের অন্তত ৭/৮ টি সাড়িবদ্ধ রুম ও পাশে আরো একটি পাকা ঘর বানিয়ে সাধারনত একাই বসবাস করে আসছেন বিলকিস বেগম। সারা বছর বাড়ির চতুরদিকে কাদা পানি থাকায় বাড়ির ভেতরে সচরাচর কারো যাতায়াত করে না।
আর এ সুযোগেই বিলকিস দীর্ঘ দিন যাবত সবার চোখ ফাকি দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এক একটি রুম প্রেমিক যুগলদের নিকট ভাড়া দিয়ে অবৈধ ব্যবসা করে আসছিলো। এমনকি দেহ ব্যবসায়ীদের বাড়িতে রেখেও তিনি রমরমা ব্যবসা পরিচালোনা করে আসছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এতে করে এলাকার ভাবমূর্তি নষ্টসহ এসব নোংরামির ফলে রাস্তায় চলাচলেও বিপাকে পরতে হয়েছে স্থানীয়দের। এ নিয়ে একাধীকবার বিলকিসকে উক্ত অবৈধ ব্যবসা বন্ধের অনুরোধ করলেও কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই দিনের পর দিন তার ব্যবসা চালিয়ে গেছেন।
যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত বিলকিস বেগম জানান আমি ফরিদপুর সদর উপজেলা এলজিইডির আয়া পদে চাকরির করার সুবাদে নানা শ্রেণী পেশার মানুষের উঠাবসা থাকায় চাকরির জন্য অনেকে আসে আমার কাছে। তবে অসামাজিক কাজে স্থানীয়দের নিকট হাতে নাতে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে প্রশ্নটি এড়িয়ে যান। এ বিষয়ে ফরিদপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত বৃহস্পতিবারে এলাকাবাসীর বিলকিসসহ তরুন-তরুনীদের আটক করে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করেছে।
Leave a Reply