স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দেওয়ায় সন্ত্রাসী ‘খাজা বাহিনী’র পাঁচ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ২ টার দিকে জেলা পুলিশের এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান এ তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. জামাল পাশা (সদ্য পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) ফাহিমা কাদের চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. হেলালউদ্দিন ভূইয়া, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম,এ জলিলসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। এ
র আগে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- সাগর বেপারী, নাজমুল ইসলাম, রাকিব, তুষার এবং সাব্বির। তাদের সবার বাড়ি ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নে। ফরিদপুর জেলা পুলিশের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান পিপিএম-সেবা । লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার বলেন, কানাইপুর ইউনিয়নর ছাত্রলীগের বিদ্যমান দুই গ্রুপের প্রভাব বিস্তার নিয়ে ২৫ আগস্ট কানাইপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দেওয়া হয়। যা পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। পরে বিষয়টি পুলিশের অনুসন্ধানে স্থানীয় সন্ত্রাসী খাজা বাহিনীর সশস্ত্র মহড়া ছিল পুলিশ জানতে পারে। কানাইপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বিদ্যমান দুই গ্রুপের প্রভাব বিস্তার নিয়ে ওই মহড়া দেওয়া হয়।
এসপি শাহজাহান বলেন, ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম আসলাম, ছাত্রলীগ কর্মী সোহাগ গ্রুপকে ভয় দেখানোর জন্য সন্ত্রাসী খাজা গ্রুপের থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সৌরভ, দিদার, শহীদ, সোহেলসহ তাদের লোকজন এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে শোডাউন করে। পুলিশ জানায়, এই শোডাউনে উদ্দেশ্যে ছিল কানাইপুর ছাত্রলীগের সভাপতি আসলামকে আক্রমণ ও ভয় দেখানো এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করা। এই ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি আসলাম এ ঘটনায় খায়রুজ্জামান খাজাসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় পুলিশ তদন্তে করে (শোডাউনের ছবি ও ভিডিও) পাঁচজনকে সনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়। তাদের হাতে শোডাউনের সময় লোহার রড়, রাম দা, ছ্যান, ছুরি ছিল। পুলিশ সুপার আরও বলেন, সন্ত্রাসের প্রতি জিরো টলারেন্স অবস্থানকে সমুন্নত রেখে এই ঘটনায় অপরাধীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনতে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং আমরা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করি। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply