সবুজ দাস : ফরিদপুরে পরেশ কর্মকার নামে এক আদিবাসীর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাত্ব জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐ আদিবাসী ফরিদপুর সদর উপজেলার ৯ নং কানাইপুর ইউনিয়নের মোর্যালীদাহ গ্রামের আদীবাসি পাড়া নিবাসী পরিতোষ কর্মকারের পুত্র পরেশ কর্মকার। বর্তমানে আহত অবস্থায় পরেশ ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ভুক্তভোগী আদিবাসী পরেশ কর্মকারের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ১৪ ই জুলাই বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মন্দিরে গেলে ৪/৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। কিছু বুঝে উঠতে না পেরেই ততক্ষনে হামলাকারিরা পরেশকে বেধরক পিটিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাত্ব জখম করে। একপর্যায়ে ঐ আদিবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পরলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আহত আদিবাসীকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করে। এদিকে এ ঘটনা অবগত হওয়া মাত্রই ফরিদপুর কোতয়ালী থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়াম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা ঐ আদিবাসীর খোঁজখবর নিতে দ্রæত ছুটে যান হাসপাতালে। একই সাথে আহত আদিবাসীর চিকিৎসাব্যাবস্থা নিশ্চিতসহ তার দ্রæত সুস্থতা কামনা করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান জানান, ঐ আদি বাসী একজন সরল সহজ মনের মানুষ। ভোর রাতের দিকে কিছু দুষ্কৃতিকারীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর রক্তাত্ব জখম করেছে। এ সময় তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষিদের দ্রæত আইনের আওতায় এনে দুষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য আহত আদিবাসী পরেশ কর্মকার অভিযোগ করে জানায় ঘটনার আগের দিন অর্থ্যাৎ বুধবার সকালে তার বাড়ির সামনে থাকা আজিজের চায়ের দোকানে চা খেতে যায়। তবে ঐ চা ব্যাবসায়ী পরেশকে সরল সহজ পেয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে উপহাস করতে থাকে। একপর্যায়ে পরেশ প্রতিবাদ করলে তার উপর হামলা চালানোর উদ্যোগ নেয় ঐ চা ব্যবসায়ী। এমনকি বিভিন্ন অশ্রাব্য ভাষায় বকাবকি করে তাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এ সময় স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় ঐ আদিবাসী তার বাড়িতে ফিরতে সক্ষম হন।
পরেশ অভিযোগ করে আরো জানায় ঐ দিন রাতে তার বাড়ি সংলগ্ন খৈমুদ্দিন মিল নামক একটি প্রতিষ্ঠানে স্থানীয় বেশ কিছু উশৃঙ্খল যুবক নেশাগ্রস্থ অবস্থায় আড্ডা দিচ্ছিল। তবে ঐ রাতে তার পরিবারের কেউ বাড়িতে না থাকায় নিজের বাড়ি চুরি হওয়ার আশংকা করে যুবকদের আড্ডাস্থলের নিকটে যান আদিবাসী পরেশ। এ সময় ঐ যুবকরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় পরেশকে হুমকি দিয়ে আড্ডা স্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করেন।
তবে ঐ আড্ডাস্থলে খৈমুদ্দিন মিল মালিকের ছেলে রাজুর মোটরসাইকেল পার্কিং করা ছিলো। ঐ মিল মালিকের ছেলে রাজুই তার সংঙ্গিদের নিয়ে মাদক সেবন করছিলেন বলে ধারনা আদিবাসীর। বর্তমানে ঐ হামলার ঘটনার সঠিক তদন্ত পুর্বক দোষিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আহত পরেশ কর্মকার ও তার পরিবার সহ এলাকাবাসী।
Leave a Reply