স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরে পৃথক দুটি ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। এ সময় এদের কাছ থেকে তিনটি মোটরসাইকেল, ৫০০ পিস ইয়াবা, বেশ কিছু মোবাইল ফোন ও নগদ চার লক্ষ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) শেখ মো. আবদুল্লাহ বিন কালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. হেলালউদ্দিন ভূইয়া, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম,এ জলিলসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানান, ফরিদপুরের একটি জুট মিলের মালিক বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় গত ২ মার্চ মাসে প্রতারণার একটি মামলা করে। এ মামলার সূত্র ধরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবা রাত সাড়ে বারোটার দিকে ফরিদপুর শহরের জনতা ব্যাংক মোড়ের হোটেল গার্ডেন ভিউ আবাসিক হোটেল থেকে চারজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চার লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা ও বেশ কিছু মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তারা জুট মিলের মেশিনপত্র দেবে বলে জুট মিলের মালিকের কাছ থেকে দুটি চেকের মধ্যে একটি চেকের ২২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে নেয়। টাকা নেওয়ার পর থেকে তারা পলাতক ছিল।
আটককৃতরা হলেন, নরসিংদী জেলার রাসেল ওরফে মোহাম্মদ মিনার মিয়া চৌধুরী (৪৫), চাঁদপুর জেলার আবুল ওরফে সুমন ওরফে ফারুক (৪৬), মাদারীপুর জেলার মিজান (৪৯) ও ময়মনসিংহ জেলার জাকিরুল ইসলাম জাকির (২৯)। অপরদিকে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার সময় ফরিদপুরের স্টেশন বাজার এলাকা থেকে দুজনকে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ আটক করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। পরে তাদের কথা মতন চুরিকৃত তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মো. এমরাজ শেখ (২৮) ও কোতোয়ালী থানার মো. বাহাদুর বিশ্বাস (৪৪)। পৃথক দুটি ঘটনার আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবী পুলিশের। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শাহজাহান জানান, আটককৃতদের আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। এদের সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করছে। এদিকে জেলায় নতুন পুলিশ সুপার যোগদান করার পর থেকে মাদকের বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন তিনি। তার ভূমিকার কারণে ফরিদপুরে একের পর এক মাদকের আসামি এবং মাদক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।
Leave a Reply