স্টাফ রিপোর্টার :
বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ফরিদপুরে বিএনপির গণমিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। প্রায় আধঘন্টা রাজপথে অবস্থানের পর পুলিশের বাধার মুখে গণমিছিল করতে পারেনি বিএপি।
শনিবার সকাল থেকেই শহরের কাঠপট্টি সড়কে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন দেখা যায়। এছাড়া ফরিদপুর প্রেসক্লাব, সাবেক মন্ত্রী কামাল ইউসুফের বাড়ির সামনে, কোর্ট চত্বরে ও হাসপাতালের সামনে সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও পুলিশ মোতায়ন ছিলো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের অবস্থান অতিক্রম করে নেতাকর্মীরা কাঠপট্টির কার্যালয়ে সমবেত হন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাব অভিমুখে গণমিছিল বের করার চেষ্টা করে। মাত্র কয়েক কদম এগিয়ে সামনে যেতে পুলিশ বেরিকেড দেয়।
এসময় সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ করা হয়। এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী এসময় বলেন, সরকার পুলিশি বাঁধা দিয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ ছোট ছোট আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করছে। তবে ছোট ছোট আন্দোলনে বাধা দিয়ে সরকার আন্দোলনকে দুর্বার করে তুলছে।
বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ অভিযোগ করেন, ফরিদপুরে গণমিছিলের আগের রাতে ১০ জন নেতা কর্মীকে আটক করা হয়েছে। মিছিলে আসার পথে নেতাকর্মীদের বাধা দেয়া হয়েছে। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং আটককৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, গণমিছিল আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। যারা বাধা দিচ্ছে আমরা তাদের ধিক্কার জানাই।
এসময় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের যুগ্ন সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা, সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপন সহ সহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শুক্রবার সন্ধায় ফরিদপুরে বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করার তথ্য জানা গেছে। শহরের কাঠপট্টিতে বিএনপির কার্যালয়ের নিচ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব মুরাদ হোসেন (৪৪), জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সোহেল শেখ (৩৭), জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ফারুক হোসেন (৩৬ ), আলীয়াবাদ ইউনিয়ন বিএনপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বাদশা মিয়া (৪৩), বিএনপি কর্মী হাশেম খান (৫৪) ও মো. জাহিদ হোসেন (৪৩)।
গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন বলেন, সুনির্দিষ্ট মামলার আসামি এবং যারা নাশকতামূলক কর্মকান্ড ঘটাতে পারে এমন পুর্ব অভিযোগ রয়েছে এবং যারা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে এ জাতীয় কোন অভিযোগ নেই তাদের কাউকে হয়রানি করা হচ্ছেনা। #
Leave a Reply