বিশেষ প্রতিবেদক :
পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের চাবি। অর্থনৈতিক উন্নয়নে সূর্য্য ঝিলিক বিশেষ করে কৃষকের পণ্য বাজারজাত করণ ও সঠিক মূল্য প্রাপ্তিতে দরজায় সুদিনের কড়া নাড়ছে। দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের কৃষি বিপ্লবের একটি অংশ নগরকান্দা। এই অঞ্চলে পাট, পিঁয়াজ ও ধান ব্যাপক উৎপাদন হয়ে থাক। কিন্তু সঠিক বাজারজাত করণের অভাবে কৃষক বঞ্চিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃসাহসী অভিযানে আমাদের স্বপ্নের দোয়ার খুলে গেছে। ঘন মেঘ কেটে এসেছে আলোর ঝর্না আর সেই সুফল নগরকান্দাবাসীও পাবে। একান্ত সাক্ষাৎকারে নগরকান্দার পৌর মেয়র নিমাই চন্দ্র সরকার উল্লেখিত কথা গুলো বলেন।
নগরকান্দা পৌর সভা ২৩ বছরে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি নির্বাচনের পর সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী সন্তান হারিয়ে মৃত্যু পথযাত্রী ছিলাম সৃষ্টিকর্তার কৃপা আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদার প্রচেষ্টায় জীবনে বেঁচে ফিরে নগরকান্দার মানুষের জন্য কাজ করার প্রস্তুতি নিয়েছি। বিগত দিনের প্রশাসকদের ব্যক্তি স্বার্থ কেন্দ্রীক কর্মকান্ডকে তিনি ঘৃণা আর নিন্দা জ্ঞাপন করে বলেন, জেলা প্রশাসক অতুল সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পৌর সভাটি খুব দ্রুত দ্বিতীয় গ্রেডে উন্নতি পাবে। জায়গা সংকটের কারণে পৌর সভার পরিবহণ ও বিবিধ খোলা স্থানে রাখার বিষয়ে বলেন, আমরা নগরকান্দা পৌরসভার কার্যক্রম জেলা পরিষদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে করছি। বিগত দিনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভাড়া পরিশোধ করেনি। আমি দায়িত্ব নেবার পর সেই বকেয়া ভাড়া কিস্তিতে শোধ করছি প্রথম কিস্তি ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা দিয়েছি। আমরাও জেলা পরিষদের কাছে অর্থ পাবো তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পর্যাক্রমে পরিশোধের। সরকার নগরকান্দা পৌর ভবন নির্মাণ করছে ৩ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এলজিআরডির অর্থায়নে। কিন্তু যেখানে ভবন নির্মাণ হচ্ছে স্থানটি পরিবেশগত ভাবে উপযোগি নয়। নগরকান্দা পৌর ভবনের সামনের জমি অন্যের দখলে গেলো কি ভাবে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটি ভূমি দস্যু চক্র লিজ গ্রহণের ফাদ পেতে সাবেক কয়েক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সহযোগিতায় এই জমি নিয়েছে। আমাদের কাজ করতে দারুন অসুবিধা হয়। ঐ চক্রটি এখন নাকি পৌর ভবনটি দখল নিতে ষড়যন্ত্র করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
স্থানীয় অনেক বাসিন্দা বলেন, বিগত দিনের অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে নগরকান্দা পৌরসভা অনেক পিছিয়ে গেছে। নতুন মেয়র সেই পিছিয়ে থাকা পৌরসভাকে উন্নয়নের আলোতে আনার চেষ্টা করছে। নগরকান্দা পৌর মেয়ার বর্তমানে রাজনৈতিক ভাবে পৌর যুবলীগের সভাপতি ও পৌর আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক পিতা স্বগীয় অনিল চন্দ্র সরকার, মাতা- স্বগীয়া জীবনী বালা সরকার, দুই ছেলে এর মধ্যে এক পুত্র ও স্ত্রী মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। কথিত আছে এই সড়ক দুর্ঘটনায় ছিল রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র তিনি সংসদ উপনেতা দেশের খ্যাতিমান রাজনৈতিক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন রেখে আমৃত্যু মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চান।
Leave a Reply