1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
চোর ও মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সংঘর্ষে তোলপাড় কৈজুরি
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

চোর ও মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সংঘর্ষে তোলপাড় কৈজুরি

  • Update Time : রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২৪৯ জন পঠিত
চোর ও মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সংঘর্ষে তোলপাড় কৈজুরি
চোর ও মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সংঘর্ষে তোলপাড় কৈজুরি

সবুজ দাস, ফরিদপুর : মাদক বিক্রির ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আত্মসাৎ ও একটি ট্রাকের ব্যাটারি চুরির অপরাধের সুত্র ধরে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তুলাগ্রামের দূর্র্ধষ মাদক ব্যবসায়ী সুমন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে তাদের অপর সদস্য সুফল কর্মকার (৩৮) কে বেধরক পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে ফেলার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে কৈজুরিতে। যদিও পুর্বশত্রæতার কথা উল্লেখ করে গত ৩০ শে মার্চ সুফলের বড় ভাই গোপাল কুমার তুলাগ্রামের মিজানুর মোল্যার ছেলে মো: মিরাজ মোল্যা (২৫) কে ১ নং আসামী, মো: সোবাহান মোল্যার ছেলে মো: লাবলু মোল্যা (৩৫) কে ২ নং আসামী, মৃত মো: বাবু মাতুব্বর এ ছেলে সুমন মাতুব্ব (৪০) কে ৩ নং আসামী, মো: আহমত এর ছেলে মো: রাতুল (২২) কে ৪ নং আসামী, মো: সাজু মোল্যার ছেলে মো: আরিফ মোল্যাকে ৫ নং আসামী করে কোতয়ালী থানায় মোট ৫ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি এজাহার দায়ের করেছেন।

ঐ এজাহারে বলা হয়েছে পুর্বশত্রæতার জের ধরে আমার ভাইয়ের সাথে কথা আছে বলে মিরাজ মোল্যা ও লাবলু মোল্যা গত ২৯ শে মার্চ সাড়ে ১২ টার দিকে বাইপাস সড়ক থেকে মোটরসাইকেল যোগে তুলাগ্রাম নতুন আশ্রয়ন প্রকল্প ঈদগাহ মাঠে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধোর করে। এসময় সুমন জিআই পাইপ দিয়ে সুফলের ডান পায়ের গিড়ার নিচ, রাতুল লোহার রড দিয়ে বাম পায়ের গিড়ার নিচ, মিরাজ লোহার রড দিয়ে গিড়া থেকে মাঝা পর্যন্ত আঘাত করে গুরুতর হাড় ভাঙ্গা জখম করে। এছাড়াও লাবলু ইট দিয়ে সুফলের মাথায় আঘাত করে এবং মামলার ৫ নং আসামী নগত ২৯ হাজার টাকা নিয়ে সকলের চলে যাওয়ার পর আহত সুফলকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মামলার আসামীগনসহ আহত সুফল একই চক্রের সদস্য হয়ে সকলে দুর্র্ধষ মাদক ব্যবসায়ী সুমনের মাদকের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করে আসছিলো।

তবে এদের অনেই মাদকের পাশাপাশি বিভিন্ন বাড়ির মোটর, টিউবওয়েলের মাথার অংশ, বিভিন্ন গাড়ির ব্যাটারি চুরি করে এলাকায় একটি চুরির আতংঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছে। তবে ঘটনার আগের রাতে মামলার ১ নং আসামী লাবলুর চাচাতো ভাইয়ের নিয়ন্ত্রনে থাকা ট্রাকের একটি ব্যাটারী চুরি হয়ে গেলে তা সুফলের উপর দায় চাপিয়ে সুফলকে চোর বলে সনাক্ত করে তারই দলের সদস্যরা। এর আগে সুমনের লুকিয়ে রাখা মাদকের চালান সুফল বিক্রি করে অনেক গুলি টাকা আত্মসাৎ করেছিলো বলে এলাকায় একটি কথা ছড়িয়েছিলো। তবে সকল সদস্য এক চক্রের হওয়ায় তাদের এমন কোন কথা আমলে নেয়নি এলাকাবাসী। এরই ধারাবাহিকতায় লাবলুর ভাইয়ের ট্রাকের ব্যাটারী চুরির সুত্র ও সুমনের মাদকের টাকা নিয়ে সুফলের সাথে বাকবিতন্ডা হওয়ায় এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছে স্থানীয়রা।

গত ২৯ তারিখের কথা উল্লেখ করে এসময় একজন বয়োস্ক ব্যাক্তি রহস্য করে জানান, “বাবায় মারছে গাঁজারে অথবা গাঁজায় মারছে বাবারে” এর আবার কি বিচার। তবে এসব চোর ও মাদক ব্যবসায়ীদের উৎপাতে এলাকার ভাবমুর্তি নষ্টসহ বিভিন্ন বাড়িতে চুরি ও মাদক কান্ডে জড়িয়ে ইউনিয়নের যুব সমাজ আজ ধংসের মুখে চলে যাওয়ার কথা তুলে ধরে এদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনেরও দাবি জানান স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়নের একাধীক ব্যাক্তিরা জানান, এ গ্রামের দুর্ধষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে খ্যাত সুমন কৈজুরীসহ ফরিদপুর ও আশপাশের জেলা এবং বিভিন্ন স্থানে মাদকের রমরমা ব্যবসা করে আসছে। তবে বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ের সুবাদে সুমন ফরিদপুরের সিএন্ডবি ঘাট, কানাইপুর, দৌলতদিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের প্রয়োজন হওয়ায় সে কৈজুরির তুলা গ্রামে সবসময় সময় না থাকার ফলে সুফলসহ সুমনের বাকি সাঙ্গপাঙ্গরাই মাদকের সিন্ডিকেটটি নিয়ন্ত্রন করত।

এ ছাড়াও তার নামে অনেক গুলি মামলা চলমান ও নিত্য নতুন মামলা হওয়া প্রায়ই তাকে জেলের ভেতরেই থাকতে হয়। ঘটনার বিষয়ে আহত সুফল এর সাথে কথা হলে তিনি ব্যাটারী চুরির ঘটনা নিশ্চিত করে মাদক বিক্রির টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি জানান, ঐ ব্যাটারিটি ভোর রাতেই শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড গাউছিয়া হেটেলের পাশ্ববর্তি একটি ব্যাটারির দোকানে বিক্রয় করা হয়। এদিকে লাবলু ও আরিফ বাইপাস থেকে কথা আছে বলে তুলাগ্রামের ২ নং আশ্রয়ন কেন্দ্র সংলগ্ন একটি বাগানে নিয়ে যায়। এ সময় সুমন, মিরাজ, রাতুলসহ আরো কয়েকজনকে দেখার পর তারা ব্যাটারির সম্পর্কে জানতে চাইলে আমি ব্যাটারি ফেরত দেওয়ার কথা জানাই। পরে ব্যাটারী আনতে শহরে আসলে ততক্ষনে দোকানদার অনত্র সড়ে পরে।

তবে দোকানের পাশেই তার ভাড়া বাসায় সুজনের স্ত্রীকে পাওয়া গেলেও তাকে আর পায়নি। এদিকে সুমন আমার সাথে দেওয়ার লোককে ফোন করে নতুন আশ্রয়ন কেন্দ্র ঈদগাহ মাঠে যেতে বলে। পরে আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে ঈদগাহ মাঠে পৌছানোর পর সুমন ও তার সাথে থাকা দলবল নিয়ে আমার উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় সুফল আবেগ প্রবন হয়ে জানায়, আমি তো চোর, চুরি করলে সুমনরা কেন আমাকে এভাবে পিটাবে। তাছাড়া ওড়াওতো আমারই সাথে মিশে। আমি কোন অন্যায় করলে আমাকে পুলিশে দিতে পারতো। এ বিষয়ে মাদক ব্যবসায়ী সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমার মাদক বিক্রির প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে সুফল। এ ছাড়াও ঐ দিন সুফলের বিরুদ্ধে একটি ট্রাকের ব্যাটারী চুরির অভিযোগ ছিলো। তাই তাকে মারধোর করা হয়েছে।

এদিকে ঘটনার বিষয়ে সুমনের মা চুরির অভিযোগে সুফলকে মারধোর করার বিষয়টি লোকমুখে শুনতে পেলেও সুমনের মাদক ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করা সত্তে¡ও সুমন শুনছেনা বলে জানান। এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ জলিল মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান ঘটনার সাথে জড়িত কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়াও তদন্তে মাদককান্ড বা অন্য কিছু থাকলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এ দিকে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পুর্বক এসব চোর ও মাদকব্যবসায়ীদের নির্মূল করে ইউনিয়নকে আধূনিক ও মাদকমুক্ত ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয়রা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION