স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়ন বহুমূখী সমবায় সমিতির নানা দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে জেলা সমবায় অফিসারসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে কমিটির এক তৃতীয়াংশ। একই সাথে তারা আনিত অভিযোগের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনেরও দাবি জানিয়েছেন। গত ৩ আগস্ট সমিতির সহ-সভাপতি মো: মশিউর রহমান (জাদু মিয়া), এলাকা পরিচালক-০১ মো: জাহিদুল ইসলাম শেখ, মো: জাহিদুল মোল্ল্যা, এলাকা পরিচালক-০২ উজ্জলসহ ৯ সদস্যের মধ্যে মোট ৬ সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটির স্বাক্ষরিত এ অভিযোগপত্রে বলা হয়,
কোন বার্ষিক সাধারণ সভা না করে কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান সাইফুল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব শেখ প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে টেন্ডারবিহীন অত্র সমিতির তিন তলা বিশিষ্ঠ একটি ভবনের নির্মান কাজ করে যাচ্ছে। যেখানে নীচ তলা ও ২য় তলা ভবন তৈরীর শুধু প্লান স্টীমেট খরচই দেখানো হয়েছে আনুমানিক ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকা। এ ছাড়াও ভবনের হস্থান্তরিত পজিশন মাসিক সভায় প্রতি স্কয়ার ফিট ২০০০ টাকা বরাদ্দ হলেও পরবর্তি মাসিক সভায় ফাকা রেজুলেশনে অভিযোগকারিদের সহি নিয়ে স্কয়ার ফিট ৩৫০০ টাকা উল্লেখ করে যার যার পজিশন তার তার করে নেওয়ার কথা বলা হয়।
যদিও পজিশনের উত্তলোনকৃত অর্থের কোন হিসাব নেই বলেও অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও গত ১১/০৩/২০১৫ইং তারিখের বার্ষিক সাধারণ সভায় সমিতির নীচ তলার অ-৮ নং দোকান ঘরটি সমিতির সভাপতি আঃ মোতালেব সেখ এর নামে বরাদ্দকৃত দলিল বাতিল করে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় যে, অ-৮ নং দোকান ঘরটি পুরাতন ভাড়াটিয়া গণেশ দত্তের নামে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য। কিন্তু ঐ বার্ষিক সাধারণ সভাকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে কোন কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে বরং একটি কৌশলী মামলা করে আঃ মোতালেব সেখ তার নামে রায় করান। যাহা সমিতির সদস্যদের অবগতের বাইরে।
অভিযোগপত্রে আরো বলা হয় বিগত দিনে সমিতির আয়-ব্যয়, ব্যাংকের হিসাব ও ফান্ডে আসা টাকারও কোন হিসাব দেয়না সভাপতি-সাধারন সম্পাদক। সমবায়ী সদস্যদের দাবি সভাপতি ও সেক্রেটারী তাদের স্বাক্ষর জাল করে টেন্ডার বিহীন কাজের মাধ্যমে লুটে পুটে খাচ্ছে লক্ষ-লক্ষ টাকা। লাগামহীন এ অন্যায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে সমবায় আইনের ২০০১ সংশোধিত ২০১৩ এর ৪৯ ধারায় সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে কানাইপুর ইউনিয়ন বহুমূখী সমবায় সমিতিকে দূর্নীতিমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন সমবায় সদস্যগণ।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান সাইফুল এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সমিতির কার্যালয়ে গেলে তিনি অফিসে না থাকায় তার মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে পরে স্বাক্ষাতে আলোচনা করার কথা জানান। এ ছাড়াও কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব শেখ এর মুঠোফোনে একাধীকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে জেলা সমবায় অফিসার অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply