স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাট গোবিন্দপুর গ্রামে যুথিকা নাসরিন (৪০) নামে একজন অসহায় নারীর জমি দখল করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়েধছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে হাটগোবিন্দপুর-কানাইপুর সড়কে এ মানববন্ধন করা হয়। এসময় ওই নারীর জমিতে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার নান্নু মোল্যার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ঘর নির্মাণের অভিযোগ করেন তারা। মানববন্ধনে ওই নারীর আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী অংশ নেন। পরে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
জানা গেছে, যুথিকা নাসরিন (৪০) নামে ওই নারী ফরিদপুরের বােয়ালমারী উপজেলার কানখুরদি গ্রামের মাে: সবুজ মিয়ার স্ত্রী। তার স্বামী সবুজ মিয়া ঢাকায় একটি মুদি দোকানের কর্মচারী। যুথীকা নাসরিন অভিযোগ করেন, তার ভাগ্নি জামাই লিয়াকত বিশ্বাসের সহায়তায় ৮ মাস আগে হাট গোবিন্দপুর গ্রামে ভেলাভাজ মৌজার ৫০৬ নম্বর দাগে জনৈক আবুল হাশেমের নিকট হতে তিনি পাঁচ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমিতে গতকাল বুধবার হতে জোর করে ঘর তৈরি শুরু করেন স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার নান্নু মোল্যা।
এরপর বিষয়টি পুলিশকে জানালেও তারা ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি। যুথিকা নাসরিনের ভাগ্নি জামাই লিয়াকত বিশ্বাস বলেন, ওই জমি লাগোয়া আমার ২০ শতক জমি রয়েছে। সেখানে অসহায় খালা শ্বাশুড়ির সম্বল হিসেবে আমি তাকে ওই জমিটি কিনে দিই। কিন্তু সীমানা চৌহদ্দি নির্দিষ্ট করে জমি রেজিষ্ট্রির পরে নামজারিও করে নিয়েছি। অথচ আমাদের সেই জমিতে এখন নান্নু মেম্বার ঘর তুলছেন। আমাদের বাধা তিনি মানছেন না। আইনেরও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।
এ ব্যাপারে ইউপি মেম্বার নান্নু মােল্যা বলেৃন, জমিটি আমার কাছে বিক্রির কথা বলেও শেষ পর্যন্ত ওই জমির মালিক আমার কাছে সেটি বিক্রি করেনি। পরে দেড় মাস পরে আবুল হাশেমের দুই ভাইয়ের অংশ বাবদ সেখানে আমি ১২ শতাংশ জমি কিনে নিয়েছি। এখনও নামজারি হয়নি তবে যুথিকা বেগমকে বলেছি তিনি যেনো পেছনের দিক হতে তার জমি বুঝে নেন। এদিকে, ভুক্তভোগী ওই পরিবারের দাবি, স্থানীয় ইউপি মেম্বার প্রভাবশালী ও টাকাওয়ালা হওয়ায় তিনি কাউকে মানছেন না।
সেখানে একটি দাঙ্গা ফ্যাসাদ বাধানোর পায়তারা করছেন তিনি। স্থানীয়ভাবে গতকাল বুধবার সালিশ করার কথা ছিলো তবে পূজা বিসর্জনের দিন হওয়ায় পুলিশ আসতে পারেনি বলে সালিশও হয়নি। তবে কাউকে না জানিয়ে সেখানে নান্নু মেম্বার ঘর তুলছেন বুধবার থেকে। এব্যাপারে তারা প্রশাসন ও পুলিশের কার্যকরী পদক্ষেপ দাবি করেন। এব্যাপারে কোতোয়ালি থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তবে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকায় আমরা ঘর তৈরির কাজ বন্ধ করতে কাউকে বলিনি।
Leave a Reply