1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
অনিয়মতান্ত্রিকভাবে পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতির বিরুদ্ধে মানববন্ধনের প্রতিবাদ - আজকের ফরিদপুর
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

অনিয়মতান্ত্রিকভাবে পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতির বিরুদ্ধে মানববন্ধনের প্রতিবাদ

  • Update Time : সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৩২ জন পঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
এখতিয়ার বহিঃভূতভাবে পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতির ব্যানার (নাম ও লোগো) ব্যবহার করে মানব বন্ধন কর্মসূচি, সমাবেশ ও জেলা প্রশাসক ফরিদপুর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে দাবী করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। গত ১৫ ফেব্রুয়ারী আনুমানিক ১০ ঘটিকায় কতিপয় বহিরাগত ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহনে এ কর্মসূচী পালন করা হয়েছে উল্লেখ করে এ বিষয়ে পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতির দাপ্তরিক বক্তব্য তুলে ধরে প্রতিবাদ জানান। ওই প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি সংস্থার গঠনতন্ত্র, নিবন্ধনকারী ও রেগুলেটরী কর্তৃপক্ষের বিধান অনুযায়ী যথানিয়মে গঠিত হয়েছে। এ বিষয়ে উল্লেখিত দুষ্টচক্রের পক্ষ হতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এর হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট দায়ের করা হয়, যা বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক প্রত্যাখাত হয়। সুতরাং অত্র সংস্থার নির্বাহী কমিটিকে অবৈধ বলা উচ্চ আদালত অবমাননা করার সামিল। মূলত: এ নির্বাহী কমিটিতে দেশের সিনিয়র সিটিজেনসহ স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে তাদের মানহানির জন্য অভিযোগকারীগণ এ হীন চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন।
সংস্থার গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপে কতিপয় সদস্য সম্পৃক্ত হওয়ায় যথাযথ নিয়ম অনুযায়ী তাদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়। উল্লেখ্য বর্ণিত দন্ডে বাতিলকৃত সদস্য সংস্থার নির্বাহী পরিষদ বরাবর নোটিশ জারীর পর একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপীল করার সুযোগ বিদ্যমান থাকলেও, কোন সদস্য এরূপ আপীল করেন নাই; যা অভিযোগের দায় স্বীকারের সামিল।
অত্র সংস্থার বরখাস্ত প্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক অলিয়ার রহমান খান দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মে নিয়োজিত থাকাকালীন নানাবিধ অনিয়ম দূর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ বিষয়ে রেগুলেটরী ও অর্থায়নকারী কর্তৃপক্ষ এবং বহি ও অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা বিভাগ কর্তৃক নিরপেক্ষ স্বচ্ছ নিরীক্ষা ও তদন্ত করা হয়। উল্লেখিত কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অনিয়মের সাথে সম্পৃক্ত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যা জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা সর্বসাধারণ অবগত আছেন।
পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতির সকল নিয়োগ সংস্থার গঠনতন্ত্র, চাকুরীবিধি অনুযায়ী যথাযথ বিধি অনুসরণ পূর্বক হয়ে থাকে। অত্র সংস্থা একটি বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসাবে সর্বদা বিধিবিধান অনুসরণ পূর্বক স্বচ্ছতা জবাবদিহীতা করতে ব্রত। যার প্রধান দায়িত্ব হল মানবাধিকার নিশ্চিত করা। এখানে মানবাধিকার হরন হওয়ার মত একটি নিদর্শনও পাওয়া যাবে না। উল্লেখ্য সংস্থার প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক অলিয়ার রহমান খান আর্থিক দূর্নীতি ও অনিয়মের দায়ে চাকুরী হতে বরখাস্ত হওয়ায় যথাযথ বিধি অনুযায়ী নির্বাহী বোর্ড এর সিদ্ধান্তক্রমে সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা কে নির্বাহী পরিচালক হিসাবে অবৈতনিক অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সুতরাং স্বেচ্ছাশ্রমে অবৈতনিক হিসাবে কর্মরত একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ব্যক্তিগতভাবে মানহানির অপচেষ্টা করা হয়েছে।
অত্র সংস্থা হতে কোন কর্মকর্তা/কর্মচারী অব্যহতি প্রাপ্ত হলে সর্বোচ্চ ০৩(তিন) মাসের মধ্যে তার দেনা পাওনা পরিশোধ হয়ে থাকে। তবে এটি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিধিমালা অনুযায়ী যদি কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীর বিরুদ্ধে নিরীক্ষা আপত্তি থাকে, কিংবা কোন আইনী জটিলতা থাকে, সেক্ষেত্রে উক্ত নিরীক্ষা আপত্তি ও জটিলতা নিরসন পূর্বক পাওনাদি যথানিয়মে পরিশোধিত হয়। তবে যদি কোন কর্মকর্তা স্বেচ্ছায় চাকুরী হতে অব্যহতি প্রদান করে, সে ক্ষেত্রে সংস্থার চাকুরী বিধিমালা ও গণকর্মচারী অবসর আইন অনুযায়ী যথানিয়মে আপনা আপনি কার্যকর হয়ে যায়।
অত্র সংস্থায় আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধ কিংবা চাকুরীবিধির গুরুতর লঙ্ঘন ব্যাতিরেকে কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে চাকুরীচ্যুত করা হয় নাই। এছাড়াও উক্ত মানব বন্ধন কর্মসুচিতে কতিপয় বক্তা উল্লেখ করেন যে অত্র সংস্থায় নিয়োজিত ফরিদপুর অঞ্চলের জনবল ছাটাই করে অন্যান্য অঞ্চলের লোকজন নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণরুপে মিথ্যাচার ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। প্রকৃত সত্য হল অত্র সংস্থায় বর্তমানে মোট নিয়োজিত জনবলের ৮০.৩৪% ফরিদপুর জেলার বাসিন্দা এবং ৮৯.১৮% জনবল বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলের বাসিন্দা।
স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরদাতাগণের মধ্য হতে গত ১০/১০/২০০৮ইং তারিখে মোঃ কুদ্দুসুর রহমান মাদক ও নারীসহ সংস্থার ধুলদী প্রশিক্ষণ সেন্টার হতে র‌্যাব এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার অপরাধে চাকুরী হতে বরখাস্ত হন; যা তৎকালীন একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশক্রমে সংস্থার নির্বাহী পরিষদের তৎকালীন জেনারেল সেক্রেটারী সৈয়দ নাজমুল হোসেন লোচন তাকে বরখাস্ত করেন।
অপর একজন স্বাক্ষরদাতা আব্দুল কাদের মিয়া সংস্থার মুন্সীরবাজার ইউনিট হতে ১৮,৪১,৬৯৮/- টাকা আত্মসাৎ এর সম্পৃক্ততার অভিযোগে গত ২৫/০৭/২০১৯ইং তারিখে চাকুরী হতে বাধ্যতামূলক অবসরে যান। এছাড়াও অপর ০৬জন কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সকলেই স্বেচ্ছায় চাকুরী হতে অবসর নেয়। তারা সকলেই ২০২০ইং এর সেপ্টেম্বর এর মধ্যে অবসরে যান। সুতরাং স্বাক্ষরদাতাগণ কেউই বর্তমান কর্তৃপক্ষের অধীনে চাকুরী হতে অবসরে যান নাই বিধায় তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন ও অসৎ উদ্দেশ্য প্রনোদিত। উল্লেখ্য সকল স্বাক্ষরদাতাগণের চুড়ান্ত দেনা পাওনা পরিশোধিত।
অত্র সংস্থা একটি বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং ক্ষুদ্র ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান। সংস্থার ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের তহবিলের উৎস হলো বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক, সরকারী-বেসরকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সকল প্রতিষ্ঠান হতে সহজ সুদে তহবিল সংগ্রহ করে পল্লী প্রগতি সহায়ক সমিতি মাঠ পর্যায়ে দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করে থাকে। অভিযোগকারীগণ সংস্থার নির্বাহী পরিষদ এবং সংস্থার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নামে মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম ক্ষুন্ন ও প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী বোর্ড এর সদস্যবৃন্দ এবং নিয়োজিত উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের মানহানিকর কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। যা থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে জনমনে অস্থিরতা এবং আতংক বিরাজ করে অত্র সংস্থার মাঠ পর্যায়ে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে বিনিয়োগকৃত অর্থ ও সংস্থার তহবিল সরবরাহকারী সরকারী বেসরকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকৃত অর্থ ঝঁকিতে পতিত করার গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। একই সাথে অভিযোগকারীগণের এ হীণ আচরণ সংস্থার প্রায় লক্ষাধিক সুবিধাবোগীর ভাগ্যের সাথে প্রতারণা করার সামিল।
বর্ণিত মানব বন্ধন কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদানের মূল কারণ হল বেশ কিছুদিন যাবৎ একটি চক্র অত্র সংস্থার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে চাপ প্রয়োগ ও ব্লাকমেইল করে অনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে এ প্রতিষ্ঠান ধবংসের জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে সংস্থার এবং সরকারী-বেসরকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকৃত অর্থ ঝুঁকির সম্মূখীন করায় কুট কৌশল প্রণয়ন করত: প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত ৫শতাধিক কর্মকর্তা/কর্মচারী, লক্ষাধিক সুবিধাভোগীর রুটি রুজি নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন এবং একইসাথে সংস্থার নির্বাহী বোর্ড এর সম্মানীত সদস্যবৃন্দ ও নিয়োজিত উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগতভাবে মানহানির জন্য চরম মিথ্যাচারী, বানোয়াট, মনগড়া, ভিত্তিহীন এবং অসৎ উদ্দেশ্যে জনমনে বিভ্রান্ত, আতংক ছড়ানোর দায়ে অভিযোগকারীদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহবান করা হল, অন্যথায় প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন ও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মানহানির দায়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION