1. ajkerfaridpur2020@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
  3. titunews@gmail.com : Monirul Islam Titu : Monirul Islam Titu
হাটঘাটা বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে ক্লাবের বারেন্দায় - আজকের ফরিদপুর
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০২:২২ অপরাহ্ন
নোটিশ বোর্ড :
আজকের ফরিদপুর নিউজ পোর্টালে আপনাদের স্বাগতম । করোনার এই মহামারীকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। সচেতনে সুস্থ থাকুন।

হাটঘাটা বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে ক্লাবের বারেন্দায়

  • Update Time : বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪
  • ৩২৪ জন পঠিত

মধুখালী প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের মধুখালীতে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় “হাটঘাটা বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়”। বিদ্যালয়ের একমাত্র ঘরটি রিমালের সময় ঝড় বাতাসে পড়ে যাওয়ায় পর আর তা পুনস্থাপন করা যায়নি। ফলে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠ দান চলছে স্থানীয় ক্লাবের ভবনের বারেন্দায়।


গত ৩ জুলাই বুধবার উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের হাটঘাটা বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, ২০০২ সালে অনগ্রসর ওই এলাকার শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে মোঃ মোস্তফা কামারে জমি দান করে প্রতিষ্ঠিত করেন বিদ্যালয়টি। প্রায় দুই যুগ ধরে প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মাঝে আলো ছড়িয়ে আসছে। চার চালা একটি টিনের ঘরে পাঠদান কর্মসূচী চলে আসছিলো দীর্ঘ দিন ধরে। দীর্ঘ দিন আগে ঘরটি তৈরি করায় জীর্ণ দশায় পরিনত হলে কিছুদিন াাগে ব্যাক্তিগত উদ্যোগে সংস্খারও করা হয়। কিন্তও সম্প্রতি দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘুর্ণি ঝড় রেমালের আঘাতে সম্পুর্ণ রুপে বিধ্বস্ত হয় ঘরটি। এতে সমস্যায় পড়েন শিক্ষক ও শিক্ষার্থিরা।
বিদ্যালয়ের চিকিৎসকেরা জানান, ঘর না থাকায় বাধ্য হয়েই শিক্ষা সংক্রান্ত কাগজপত্র রাখতে হয়েছে জনৈক শিক্ষকের বাড়ীতে। পাঠ চলছে গাছতলা খোলা আকাশের নীচে। আর প্রকৃতির বৈরি আওহায়া থাকলে উপায়ন্ত না থাকায় শিক্ষার্থিদের কথা ভেবে পাশেই অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদের ঘরের বারান্দাতে ক্লাস নেয়া হয়।
তারা জানান, শিক্ষকদেরও বসবার কোন ব্যবস্থা নাই। শিক্ষার্থীদের স্থান সংকুলানও কঠিন ওই বারান্দাতে।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রুখসান পারভীন বলেন ২০০৭ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে বিনা বেতনে কাজ করে আসছি। বর্তমানে চারজন শিক্ষক কর্মরত আছেন এবং শতাধিক শিশু শিক্ষার্থী আছে। পাঠ্যক্রম চলছে প্রাথমিকের সরকারী নিয়মানুসারে।
তিনি জানান, একমাত্র টিনের চারচালা ঘর ছিলো, সেটিও ঝড়ে পড়ে যাওয়ায় বিদ্যালয়টির অস্তিত্বই সংকটে পড়েছে। খোলা আকাশের গাছের নীচে এবং পাশের কøাবের বারেন্দায় পাঠদান চলছে।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল বলেন, আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করার। তবে সরকারী সহযোগীতা ছাড়া প্রতিষ্ঠান দাড় করানো কঠিন। তিনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বিষয়টি বিবেচনায় এনে দ্রুততম সময়ে একটি ভবনের ব্যবস্থা করে দেয়ার দাবী জানান।
যদিও মধুখালী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, সরকারের নির্দশনা আছে যেখানে শিক্ষা আছে সেখানেই বই বিতরণের। আমরা সে ভাবেই চাহিদা মত বিদ্যালয়টিতে বই দিয়ে থাকি এর বাইরে কিছুই করার নাই। যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধনকৃত নয়।
আর মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন আহমেদ অনিক জানান, অনিবন্ধিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকারী পর্যায় থেকে কতটুকু সাহায়্য সহযোগিতা করা যাবে তা বঝে সহযোগীতার চেষ্টা করা হবে।
উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ মুরাদুজ্জামান বলেন যেহেতু আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং শিক্ষা কমিটির সভাপতি সে হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। #

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ
© পদ্মা বাংলা মিডিয়া হাউজের একটি প্রতিষ্ঠান
Design & Developed By JM IT SOLUTION